সম্মান পর্বতারোহীদের। —নিজস্ব চিত্র।
একটানা তুষারপাতের জেরে কোথাও ২০ ফুট, কোথাও ৩০ ফুট উঁচু বরফের আস্তরণ জমে গিয়েছিল। রাস্তারও হদিস মিলছিল না। এই পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল হিমালয়ের ৬৫১২ মিটার উঁচু ভাগীরথী-টু পর্বতশৃঙ্গ অভিযান সেরে ফেরার পথে আপার নন্দনবনের ৪৮৯৬ মিটার উঁচু বেসক্যাম্পে তিন দিন আটকে থাকতে বাধ্য হলেন রায়গঞ্জের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ার্স অ্যান্ড ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় পর্বতারোহী।
শনিবার দুপুরে অভিযানকারী দলের সদস্যরা রায়গঞ্জে ফেরেন। এ দিন জেলা প্রেসক্লাব ভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সেইসব অভিজ্ঞতাই তুলে ধরলেন অভিযানকারী দলের সদস্যেরা। দলনেতা মনোতোষ বিশ্বাস ও একমাত্র মহিলা সদস্যা অপর্ণা চক্রবর্তীর দাবি, ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টো থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত আমরা বেসক্যাম্পে আটকে ছিলাম। প্রতি মুহূর্তে মনে হচ্ছিল, বেসক্যাম্পেই তুষারপাতে মারা যাব। অভিযানকারী দলের বাকি চার সদস্য তরুণ সরকার, শঙ্কর ধর, নিলাদ্রী সিংহ ও অঞ্জুমান আলি শিকদারের দাবি, পর্বতশৃঙ্গে সফল অভিযানের পর থেকেই আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে। বেসক্যাম্পে থাকাকালীন মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তাঁদের হাতের আঙুল অসাড় হয়ে পড়েছিল। শুকনো খাবার, চকলেট ও সামান্য জল খেয়ে কাটান তাঁরা।
গত ৪ সেপ্টেম্বর অ্যাসোসিয়েশনের ছয় সদস্যের ওই প্রতিনিধি দল রওনা হন। গঙ্গোত্রী থেকে ১১ সেপ্টেম্বর তাঁরা ওই অভিযান শুরু করেন। ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ২টো নাগাদ তাঁরা ভাগীরথী-টু পর্বত অভিযানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরদিন দুপুর ২টো নাগাদ তাঁরা ওই শৃঙ্গ জয় করে ২১ সেপ্টেম্বর বেস ক্যাম্পে ফিরে তাঁরা আটকে পড়েন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy