Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Home Stays

রাজ্যে ‘হোম-স্টে’র পরিস্থিতি সমীক্ষা

নির্দেশিকায় পেশাদার সংস্থা নিয়োগ করিয়ে ‘হোম-স্টে’ সমীক্ষা করানোর কথা বলা হয়েছে। পুজো এবং উৎসবের মরসুমের পরে তা শুরু হওয়ার কথা।

হোম স্টে।

হোম স্টে। নিজস্ব চিত্র।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৩০
Share: Save:

আসছিল নানা অভিযোগ। সে প্রেক্ষিতে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে রাজ্য পর্যটন দফতরের নথিভুক্ত ‘হোম-স্টে’র বাস্তবিক পরিস্থিতি নিয়ে সমীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ১ অক্টোবর পর্যটন দফতরে একটি বৈঠকের পরে, সে দফতরের সচিব তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর নির্দেশে একটি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তা করেছেন পর্যটন দফতরের এক অতিরিক্ত অধিকর্তা। নির্দেশিকায় পেশাদার সংস্থা নিয়োগ করিয়ে ‘হোম-স্টে’ সমীক্ষা করানোর কথা বলা হয়েছে। পুজো এবং উৎসবের মরসুমের পরে তা শুরু হওয়ার কথা।

পর্যটন দফতরের এর যুগ্ম সচিবের কথায়, ‘‘গত সাত বছর ধরে রাজ্যের পাহাড় এবং সমতল এলাকায় হোম-স্টে গড়ায় নানা ভাবে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। সরকার আর্থিক সাহায্যও করেছে। এ বার তা ঠিকঠাক হয়েছে কি না, দেখা হবে।’’ তিনি জানান, বিষয়টিকে সমীক্ষা বলা হলেও, আদতে এটি একটি ‘অডিট’। ২০১৭ সালে ‘ওয়েস্টবেঙ্গল হোম-স্টে পলিসি’ তৈরি হয়। পরে ২০১৯ এবং ২০২২ সালে সংযোজন, সংশোধন করে আইন তৈরি হয়েছে। করোনা-সংক্রমণের পর্বে পর্যটন শিল্প ধুঁকতে শুরু করে। শিল্পের সঙ্গে জড়িতেরা বিপাকে পড়েন। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ‘হোম-স্টে’ তৈরিতে উৎসাহ দেওয়া হয়। নীতি মেনে ‘হোম-স্টে’ তৈরি করে তা সরকারি ভাবে নথিভুক্ত করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। নথিভুক্ত প্রতিটি ‘হোম-স্টে’-কে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এক লক্ষ টাকা দেয় সরকার। গত ১২ সেপ্টেম্বর অবধি রাজ্যের ২৩টি জেলায় নথিভুক্ত ‘হোম-স্টে’র সংখ্যা ২,৩৭৩। সবচেয়ে বেশি রয়েছে কালিম্পংয়ে, ১,০৭০টি। সবচেয়ে কম পশ্চিম বর্ধমানে তিনটি। দার্জিলিঙে ৩১০, জলপাইগুড়িতে ১৩৮, ঝাড়গ্রামে ১০২, বীরভূমে ৪৭, পুরুলিয়াতে ৩৮টি-সহ রাজ্যের ২৩টি জেলায় ‘হোম-স্টে’ রয়েছে।

পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, গত তিন বছর ‘হোম-স্টে’ নিয়ে সরকারের নানা স্তরে একের পরে এক অভিযোগ এসেছে। যেমন— সরকারি নথিভুক্ত বহু ‘হোম-স্টে’ লিজে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে রোজগার করছেন বাড়ির মালিক, যা বেআইনি। কিছু ‘হোম-স্টে’-তে বুকিংয়ের সময় নানা পরিষেবার কথা বলা হলেও, বাস্তবে তা মিলছে না বলে অভিযোগ। নীতি অনুযায়ী, ‘হোম স্টে’-তে এক থেকে ছ’টি ঘর বা ১২ শয্যা সর্বোচ্চ থাকার কথা। অভিযোগ, সেখানে ঘরের সংখ্যা বাড়িয়ে হোটেল বা রিসর্টের আকারে ব্যবসা জোড়া হয়েছে। সরকার থেকে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য পাওয়া এক লক্ষ টাকা অন্য খাতে খরচের অভিযোগও এসেছে। সে প্রেক্ষিতেই সমীক্ষায় উদ্যোগী হয়েছে সরকার।

পর্যটন দফতরের এক সহ-অধিকর্তা বলেন, ‘‘প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছ থেকে তালিকা নিয়ে হোম-স্টে পলিসি মেনে সমীক্ষা হবে। সমীক্ষার রিপোর্ট দেখে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

North Bengal south bengal tourism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy