প্রতীকী চিত্র।
স্কুটির ডিকির ভিতরে পরপর সাজানো পাঁচটি সোনার বাট। তল্লাশি করে অবাক হয়ে যান কেন্দ্রীয় রাজস্ব দফতরের (ডিআরআই) গোয়েন্দারা। গত শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়ির সেবক রোডে এক ব্যবসায়ীর স্কুটিতে তল্লাশি চালিয়ে এই সোনার বাটগুলি উদ্ধার করা হয়। ব্যবসায়ীকে জেরা করে সেবক রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে আরও ১০টি সোনার বাট এবং ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে। বাইশ ক্যারেট সোনার বাটগুলির প্রতিটির ওজন এক কেজি। মোট ১৫ কেজি সোনা এবং নগদ টাকা মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির দাম প্রায় ৫ কোটি টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে।
ডিআরআই জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে সেবক রোড থেকে গ্রেফতার হওয়া কমলকুমার বর্মা একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। পরে সেবক রোডেরই ফ্ল্যাট থেকে কুঙ্গ তেনজিং ভুটিয়া নামে কার্শিয়াঙের এক বাসিন্দাকে ধরা হয়েছে। কুঙ্গের থেকেই কমলকুমার সোনার বাট পেয়েছিল বলে দাবি। সোনার বাটগুলি চোরাপথে শিলিগুড়ি ঢোকে। সেগুলিকে ধনতেরাসের আগে চড়া দামে কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টা চলছিল বলে ডিআরআই-এর তরফে দাবি করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে ডিআরআই-এর দাবি, পুরো ঘটনার পেছনে আর্ন্তজাতিক সোনা চোরাচালান চক্রের যোগ রয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার বাটগুলির কোনওটির গায়ে মেড ইন সুইৎজারল্যান্ড, কোনওটির গায়ে মেড ইন ইউএসএ লেখা রয়েছে। চিন থেকে নেপাল হয়ে সোনাগুলি এ দেশে ঢুকেছিল বলে তদন্তে জেনেছে ডিআরআই। ধৃত কুঙ্গের নাগরিকত্ব নিয়েও সন্দিহান গোয়েন্দারা। তার থেকে উদ্ধার হওয়া পাসপোর্টে কার্শিয়াঙের ডাউহিলের ঠিকানা থকালেও, সে নেপালি, হিন্দি কোনও ভাষাই জানে না বলে দাবি করেছে।
এ দিন ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। ডিআরআই-এর আইনজীবী রতন বণিক বলেন, ‘‘ধৃতদের জেরা করে আরও বেশ কয়েকজনের নাম-ঠিকানা মিলেছে। একটা বড় চক্রের হদিশ মিলেছে।’’
আরও পড়ুন:
স্বামীকে খুন করে থানায় হাজির স্ত্রী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy