কুয়েত ইতিমধ্যেই ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। বাহরিনও বলে দিয়েছে, কেরল-সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে তারা আপাতত কোনও আনাজ বা ফল আমদানি করবে না।
এর মূলে আছে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, নিপা ভাইরাসের আতঙ্কে পশ্চিম এশিয়ার অন্যান্য দেশও যে-কোনও দিন ভারত থেকে ফল ও আনাজ আমদানি সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিতে পারে। আর তা যদি হয়, রাজ্যের আনাজ ও ফল রফতানির ব্যবসা ব্যাপক ভাবে ধাক্কা খাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যের রফতানিকারী সংস্থাগুলিকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
নিপা ভাইরাসের খবর ভারত থেকে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ার পরে গত কয়েক দিনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে-সব আনাজ ও ফল রফতানি করা হয়েছে, তা কোন জেলার, তা নির্দিষ্ট করে লিখে পাঠাতে হচ্ছে সংস্থাগুলিকে। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনও রোগী পাওয়া যায়নি। কিন্তু স্রেফ আশঙ্কা থেকে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি যদি পশ্চিমবঙ্গের আনাজ ও ফল আমদানিও নিষিদ্ধ করে দেয়, বাংলার চাষি এবং রফতানিকারী সংস্থাগুলি লোকসানের মুখে পড়বেন।
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলের কর্তা এস কে বর্মা বলেন, ‘‘কুয়েত ভারত থেকে ফল ও আনাজ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে অন্যান্য দেশও এই পথে হাঁটতে পারে। মন্ত্রক বিষয়টি জানানোর পরে আমরা পশ্চিমবঙ্গের রফতানিকারী সংস্থাগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছি।’’
গ্রীষ্মে পশ্চিমবঙ্গ থেকে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে প্রচুর পরিমাণে আম-কাঁঠাল রফতানি হয়। আনাজের মধ্যে বাংলার কাঁকরোল, পটল ও বরবটি ওই সব দেশের বাসিন্দাদের খুব পছন্দের। রফতানিকারী সংস্থার হিসেব অনুযায়ী এখন পশ্চিমবঙ্গ থেকে ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বছরে প্রায় ৬৫০০ টন আনাজ ও ফল রফতানি হয়। রাজ্যের আনাজ ও ফল রফতানিকারী সংস্থাগুলির সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক অঙ্কুশ সাহা জানান, পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশ যে রফতানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করছে, তা তাঁরা জানেন। তাঁরা আতঙ্কিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy