গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে অশান্তি চলেছে জেলায় জেলায়। তার মধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার জটে আটকে থাকা ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বোর্ড গড়ার জন্য নির্দেশ জারি হতে চলেছে। জেলাশাসকদের কাছে আজ, বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশ পাঠানোর কথা পঞ্চায়েত দফতরের।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেশ কিছু প্রার্থী জিতে যাওয়ার পরে বোর্ড গড়া যায়নি ১২টি জেলা পরিষদ, ১০৯টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ১৬৯২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে। সেগুলিতেই বোর্ড গঠনের জন্য আজ পঞ্চায়েত দফতরের নির্দেশ দেওয়ার কথা। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে সেগুলির জন্য গে়জেট তৈরির প্রক্রিয়া শেষ করেছে তারা। দ্বিতীয় দফার জন্য নির্দেশ জারি হলেও রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চায় রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘দু’দফায় বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সবটা শেষ করতে হবে। নইলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যাবে না।’’ বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ দেবে পঞ্চায়েত দফতর।
প্রথম দফায় বাকি আটটি জেলা পরিষদ, ১২১টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ১৫১৫ পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য পঞ্চায়েত দফতর ৯ অগস্ট নির্দেশ দিয়েছিল। দফতরের কর্তাদের হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ৯০ শতাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়া হয়েছে। নানা কারণে ৯-১০ শতাংশ ক্ষেত্রে বোর্ড গঠন হয়নি। কাল, শুক্রবার থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম দফায় প়ঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছে দফতর। তবে কোথাও সমস্যা হলে জেলাশাসকেরা পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনও স্থগিত রাখতে পারবেন। ‘‘পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন জেলাশাসকেরা,’’ বলেন পঞ্চায়েত দফতরের এক কর্তা।
ওই দফতরের কর্তাদের একাংশের মতে, গ্রাম পঞ্চায়েতের তুলনায় পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে গন্ডগোলের আশঙ্কা কম। কারণ, প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতিরই পরিধি অনেক বড়। অত বড় এলাকা জুড়ে গন্ডগোল পাকানো বেশ কঠিন। তা ছাড়া পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ে আগ্রহও কম থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy