ফাইল চিত্র।
সাঁতরাগাছি সেতুর উপরে ওভারব্রিজ তৈরির অনুমতি দিল না রেল। দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, রেললাইনের পাশে ওভারব্রিজের থামের ভিত গাঁথা যাবে না। তাতে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নতুন নকশা তৈরির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটসকে। তারা ইতিমধ্যেই তা জমা দিয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, নবান্ন থেকে দিল্লি রোড পর্যন্ত কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে ছ’লেনের ‘এলিভেটেড করিডর’ তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে আগেই। ওই রাস্তার উপরেই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন— শালিমার এবং সাঁতরাগাছি। এই স্টেশন দু’টির ভোল বদলের কাজ আগেই শুরু করেছে রেল। কিন্তু, স্টেশন সংলগ্ন রাস্তার বেহাল দশা আমজনতা ও প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাঁতরাগাছির কাছে কোনার রাস্তা খুবই সরু। ফলে মুম্বই ও দিল্লি রোড থেকে কলকাতায় আসতে লেগেই থাকে যানজট। ছ’কিলোমিটার রাস্তায় দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ।
সমস্যার সমাধান-সূত্র হিসেবে উঠে আসে ছ’লেনের এলিভেটেড করিডর তৈরির কথা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই রাস্তা তৈরির জন্য নির্দেশ দেন রাজ্য হাইওয়ে নিগমকে। সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরির দায়িত্ব রাইটসকে দেয় নিগম। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যসচিব মলয় দে-র নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক কমিটি তৈরি হয়। সেই কমিটিতে রেলের আধিকারিকেরা ছাড়াও রয়েছেন পূর্ত দফতর এবং রাইটসের হাইওয়ে ডিভিশনের পদস্থ কর্তারা। ইতিমধ্যেই ওই কমিটির কয়েকটি বৈঠক হয়ে গিয়েছে নবান্নে।
এলিভেটেড করিডর তৈরির সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট জমা পড়েছে মে মাসে। ওই রিপোর্ট তৈরি করেছে রাইটসের হাইওয়ে ডিভিশন। রিপোর্ট অনুযায়ী, এলিভেটেড করিডর করার জন্য রেললাইনের উপরে তিনটি ওভারব্রিজ হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই দু’টির অনুমোদন দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। কিন্তু, সাঁতরাগাছি সেতুর উপরে ওভারব্রিজ তৈরির বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, সম্প্রতি মুখ্যসচিবের সঙ্গে কমিটির এক বৈঠকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক পদস্থ কর্তা ওভারব্রিজের নকশা খুঁটিয়ে দেখে জানান, সাঁতরাগাছি স্টেশনে রেললাইনের পাশে থামের ভিত গড়া যাবে না।
নবান্ন সূত্রের খবর, এর পরেই নতুন নকশা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রেলের জমিতে থাম তুলতে না পারায় প্রায় তিন একর জমি লাগবে। ওই জমি কিনতে হবে। এর ফলে বেশি লম্বা হবে ওভারব্রিজ। সেই মতো নতুন নকশা জমা দেওয়া হয়েছে বলে রাইটস সূত্রের খবর। রেলের ওই কর্তা জানান, রেলের অনুমোদন মেলার পরে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের ছাড়পত্র প্রয়োজন। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পকে ভারতমালা প্রকল্পের আওতায় এনেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy