Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বোমায় মৃত্যু তৃণমূলকর্মীর

দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূলের এক কর্মীর। মঙ্গলবার বিকেলে সালার থানা এলাকার খাঁড়েরা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত ওই যুবকের নাম আসাদুল শেখ (২৪)। তিনি কলকাতায় এসি মেশিন সারইয়ের কাজ করতেন। মহরমের উপলক্ষে গত রবিবার তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবক এ দিন বিকেল সাড়ে ৩ টে নাগাদ ধানের জমিতে জল দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় গ্রামের পশ্চিমপাড়া থেকে মহরমের একটি দল ডাঙাপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। ষষ্ঠীতলার কাছে তাঁদের ডাঙাপাড়ায় ঢুকতে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কান্দি শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৩৩
Share: Save:

দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূলের এক কর্মীর। মঙ্গলবার বিকেলে সালার থানা এলাকার খাঁড়েরা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত ওই যুবকের নাম আসাদুল শেখ (২৪)। তিনি কলকাতায় এসি মেশিন সারইয়ের কাজ করতেন। মহরমের উপলক্ষে গত রবিবার তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবক এ দিন বিকেল সাড়ে ৩ টে নাগাদ ধানের জমিতে জল দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় গ্রামের পশ্চিমপাড়া থেকে মহরমের একটি দল ডাঙাপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। ষষ্ঠীতলার কাছে তাঁদের ডাঙাপাড়ায় ঢুকতে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই যুবক মধ্যস্থতা করতে যান। সে সময়ই বোমা ছোড়ে জনা ছয়েক দুষ্কৃতী। মাথায় বোমার আঘাত লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মৃত ওই যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে ছয় জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “পুরনো কোনও বিবাদের জেরেই ওই খুনের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। ছয় জনের নামে অভিযোগ দায়ের হলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তদন্ত চলছে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে পশ্চিমপাড়া ও ডাঙাপাড়ার মধ্যে অশান্তি শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজোর সময় থেকে। পরে বখরি ঈদের দিনে খাঁড়েরা গ্রামের মোড়ে দু’পাড়ার মধ্যে একপ্রস্ত হাতাহাতিও হয়েছিল। তার জেরেই ওই দিনের অশান্তি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এ দিকে এই ঘটনার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপড়েন। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি আরএসপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কংগ্রেসের মদতে পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে তাঁদের ওই কর্মীকে। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুল মান্নান হোসেন বলেন, “ওই যুবক তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে ওই গ্রামে তৃণমূলের সংগঠন মজবুত হচ্ছিল। সেই ভয়েই এই খুন। জেলার ‘মার্ডার সিন্ডিকেট’কে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে বিরোধীরা।” মুর্শিদাবাদ জেলার আরএসপি সম্পাদক বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য স্পষ্ট বলেন, “ওই খুনের সঙ্গে আমাদের দলের কোন যোগ নেই।” কান্দি মহকুমা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি দেবাশিষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই খুনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। যিনি মার্ডার সিন্ডিকেটের কথা বলছেন তিনি ভোটে হেরে যাওয়ার আগে ওসব কথা বলেননি কেন? পুলিশ যদি নিরপেক্ষ তদন্ত করে তাহলে সব জানতে পারবে।” ওই খুনের সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

bomb blast death of tmc candidate kandi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE