Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

দু’মাস পেরিয়েও প্রাথমিকে বই-সঙ্কট

নতুন শিক্ষাবর্ষের দু’মাস পেরিয়েছে। এখনও সমস্ত পড়ুয়ার হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে পারল না মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাহত হচ্ছে পঠন-পাঠন। স্কুলের শিক্ষকেরা বারবার বই চেয়ে আবেদন জানাচ্ছেন শিক্ষা দফতরে। লাভ হয়নি।

কৌশিক সাহা
কান্দি শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৪ ০১:১৯
Share: Save:

নতুন শিক্ষাবর্ষের দু’মাস পেরিয়েছে। এখনও সমস্ত পড়ুয়ার হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে পারল না মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাহত হচ্ছে পঠন-পাঠন। স্কুলের শিক্ষকেরা বারবার বই চেয়ে আবেদন জানাচ্ছেন শিক্ষা দফতরে। লাভ হয়নি।

মুর্শিদাবাদ জেলায় ৩১৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৫৯। নতুন শিক্ষাবর্ষে দু’মাস ক্লাস হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। কিন্তু বহু পড়ুয়াই হাতে পাঠ্যপুস্তক পায়নি এখনও। কান্দি মহকুমার কান্দি পূর্ব চক্রের হিজল বাঘ আছরা পায়রাকোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূব-প্রাথমিকে ১৫ জন পড়ুয়ার মধ্যে অর্ধেকই পাঠ্যপুস্তক পায়নি এখনও। প্রথম শ্রেণির ৪৫ জন পড়ুয়ার মধ্যে ১২ জন, দ্বিতীয় শ্রেণির ৩০ জন পড়ুয়ার মধ্যে ১২ জন বই পায়নি। আবার তৃতীয় শ্রেণিতে ৪২ জন পড়ুয়া অন্য সমস্ত বই পেয়ে গেলেও বাংলা বই পায়নি। চতুর্থ শ্রেণিতে পাঁচটি পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে একটিও পায়নি ১২ জন পড়ুয়া। অভিভাবক সফিকুল শেখ বলেন, “বই না পেয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েরা পিছিয়ে যাচ্ছে। আমরা বহুবার স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বই দিতে বলেছি। কিন্তু কারও কোনও গা নেই।” পড়ুয়াদের দুর্ভোগের কথা মেনে নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অলোক ঘোষ বলেন, “বই-সঙ্কটের কথা আমরা সার্কেল ইন্সপেক্টরকে জানিয়েছি। কিন্তু বই পাচ্ছি না।” ওই চক্রের আন্দুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিন্দ্য সিংহ বলেন, “আমার স্কুলেও বই-সঙ্কট আছে ঠিক। তবে সংখ্যাটা খুব বেশি নয়। প্রত্যেক ক্লাসে তিন-চার জন করে পড়ুয়া আছে, যারা বই পায়নি। শিক্ষা দফতরকে জানিয়েছি। দেখা যাক কবে বই পাওয়া যায়।” শিক্ষকরা পাঠ্যপুস্তকের জন্য হায়-হায় রব তুললেও কান্দি পূর্ব চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রমজান আলি বলেন, “বই তো সকলেই পেয়ে গিয়েছে বলে জানি। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।” বই-সঙ্কটের কথা জানা নেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি সাগির হোসেনেরও।

তবে বইয়ের সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন জেলার অবর প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক রাখী মণ্ডল। বই-সঙ্কটের কারণ জানতে চাইলে রাখীদেবী বলেন, “প্রয়োজন মতোই বরাত দেওয়া হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে জেলা জুড়ে যত বইয়ের প্রয়োজন ছিল, সেই মতোই এসেছিল। সেগুলি বিলি করে দেওয়া হয়েছে। ভর্তি-পর্ব মিটে যাওয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। ফের দ্বিতীয় পর্যায়ের বইয়ের বরাত দেওয়া হয়েছে। রাজ্য থেকে ওই বইগুলি চলে এলেই দ্রুত বিলি করা হবে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE