Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ছেলের পথে হেঁটেই তৃণমূলে গেলেন মান্নান

পুত্রের পথেই হাঁটলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ মান্নান হোসেন। কিছু দিন আগে তাঁর ছেলে সৌমিক হোসেন যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভপতির পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বাবা, মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ মান্নান হোসেনের শাসক দলে যোগ দেওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। শনিবার সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। এ দিন বহরমপুরে এফইউসি মাঠে এক জনসভায় মান্নানের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, “মান্নানের হাতেই এই জেলার ভার তুলে দেওয়া হল।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:১৩
Share: Save:

পুত্রের পথেই হাঁটলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ মান্নান হোসেন।

কিছু দিন আগে তাঁর ছেলে সৌমিক হোসেন যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভপতির পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বাবা, মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ মান্নান হোসেনের শাসক দলে যোগ দেওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। শনিবার সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হল।

এ দিন বহরমপুরে এফইউসি মাঠে এক জনসভায় মান্নানের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, “মান্নানের হাতেই এই জেলার ভার তুলে দেওয়া হল।” গত লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি আসনের একটিও জিততে পারেনি তৃণমূল। পরাজয়ের পর মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। নতুন জেলা কমিটি নির্বাচনের পরে তাঁদের মাথায় বসিয়ে দেওয়া হয় দুই পর্যবেক্ষক, ইন্দ্রনীল সেন ও আশিস চক্রবর্তীকে। কিন্তু দলের জেলা সভাপতির আসনটি শূন্যই রয়ে গিয়েছে। মুকুল এ দিন বলেন, “মালদহ, বীরভূম, নদিয়া, বর্ধমান রাজ্যের সব জেলায় তৃণমূল জিতেছে। কিন্তু মুর্শিদাবাদে কেন পারছি না। নিশ্চয় এখানে কোনও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।” সেই ঘাটতি মেটানোর দায়িত্বই কি দেওয়া হল মান্নানের কাঁধে?

মুকুল বলছেন, “মান্নানকেই সেই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। দেখবেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই জেলার ২২টি বিধানসভার মধ্যে অন্তত ২০টি আসন জিতব আমরা।” মঞ্চের উপর মান্নানের হাত ধরে দলের জেলা পর্যবেক্ষক ইন্দ্রনীল সেনও বলেন, “আমিও ২০১৬ সাল পর্যন্ত মান্নান ভাইয়ের সঙ্গে মুর্শিদাবাদেই থাকব।” আর মান্নানের কথায়, “পঁয়তাল্লিশ বছর কংগ্রেস করেছি। আজ দল ছেড়ে তৃণমূলে এলাম। সব জেলায় ঘাসফুল ফুটছে। এ জেলা কেন ফুটবে না? এ জেলাতেও এ বার ঘাসফুল ফুটবে।”

এ দিন মঞ্চ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও তোপ দাগেন তিনি। তাঁকে ‘মিরজাফর’ বলে কটাক্ষ করে মান্নানের দাবি, পরিবারের স্বার্থেই কংগ্রেসকে ব্যবহার করছেন অধীর। যা শুনে অধীর বলছেন, “২০০৪ এবং ২০০৯ সালে নির্বাচনে জেতার পরে আমাকে মিরজাফর মনে হয়নি। এ বার হারতেই আমি মিরজাফর হয়ে গেলাম, দ্বিচারিতা আর কাকে বলে!”

অন্য বিষয়গুলি:

mannan tmc join berhampore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE