মোমোর সঙ্গে তার কথোপকথন এগিয়েছিল বেশ, কিন্তু একটু কড়া শব্দে ‘চোয়াল কাটার’ নির্দেশ আসতেই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন সরিফ শেখ। শুধু তাই নয়, অসুস্থ হয়ে পড়া পাঁচথুপির ওই যুবকে প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ভর্তি করতে হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।যে নম্বর থেকে মোমোর আমন্ত্রণ এসেছিল, পুলিশ এখন তার হদিস করার চেষ্টা করছে।
সরিফ দুবাইয়ে কাজ করত।মাসখানেক আগে বাড়ি ফেরে সে।দিন কয়েক আগে তার মোবাইলে মোমো খেলার আমন্ত্রণ আসে।ওই যুবকের বাবা সেলিম শেখ বলেন, “ছেলে চাপা স্বভাবের।কিছুদিন ধরেই দেখতাম ফোন নিয়েই থাকত। প্রথমে ভেবেছিলাম মোবাইলে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার কারণে কোন সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এটা যে মোমো-কাণ্ড বুঝতে পারিনি।পুলিশকে জানিয়েছি।” আপাতত বড়ঞা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি সে। ওই হাসপাতালের আধিকারিক দীনেশ গায়েন বলেন, “মনে হচ্ছে মানসিক কোনও সমস্যা হয়েছে ছেলেটির।এখন তো দেখছি মোবাইলের কথা শুনলেই চমকে উঠছে।চিৎকার করছে।’’ বাড়ির লোকেদের ছেলেটি জানিয়েছে, মোমো তার সঙ্গে হিন্দিতেই কথা বলত।প্রাথমিক কিছু কথার পরে মোম তাকে জানায়, নিজের চোয়াল কেটে রক্তাক্ত সেই ছবি পোস্ট করতে হবে।বিপত্তি বাধে তার পরেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy