যুবকের নিথর দেহ নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছেছিল এক যুবতী। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করতেই হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন ওই যুবতী। শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। ডাকা হয় পুলিশ। শেষমেশ হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা যুবতীকে আটক করে তুলে দেন পুলিশের হাতে। শুক্রবার নদিয়ার কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের এই ঘটনায় শোরগোল।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম মফিজুল মণ্ডল। কল্যাণী থানার সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের মদনডাঙার ওই বাসিন্দা গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। শুক্রবার তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় কল্যাণীর হাসপাতালে নিয়ে যান বছর ২৭-এর এক যুবতী। তবে চিকিৎসকেরা ওই যুবককে মৃত বলে জানানোর পর দেহ ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ওই মহিলাকে আটক করেছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার কাজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মফিজুল। আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজখবর করেছেন। কিন্তু মফিজুলের সন্ধান মেলেনি। বার বার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা হয়। কিন্তু মফিজুলের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
শুক্রবার সকালে হঠাৎ কল্যাণীর হাসপাতাল এবং পুলিশের মাধ্যমে তাঁরা খবর পান যে, মফিজুলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, মফিজুলকে খুন করা হয়েছে। তাঁর গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি। যদিও ওই মহিলার সঙ্গে যুবকের কোনও সম্পর্ক ছিল কি না, পরিবার পরিষ্কার করে বলতে পারেনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, যুবতীর সঙ্গে মৃতের কী সম্পর্ক ছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তা ছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে যুবক কোথায় ছিলেন, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই ওই যুবতীকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।