জঙ্গিপুর মহকুমার সমস্ত রেল স্টেশনে বাড়তি সশস্ত্র রেল রক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা হল। ২০১৯ সালে এনআরসি আন্দোলনকে ঘিরে জঙ্গিপুর-সহ কয়েকটি রেল স্টেশনে যে ব্যাপক হামলা চালানো হয়, তার প্রেক্ষিতেই আগাম প্রস্তুতি নিল রেল মন্ত্রক।
জঙ্গিপুরের আরপিএফ ইন্সপেক্টর অভিজিৎ দেবনাথ বলেন, ‘‘সর্বত্রই পর্যাপ্ত ফোর্স পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলায়। জঙ্গিপুর রোড ও নিউ ফরাক্কা জংশনে রাখা হয়েছে সবচেয়ে বেশি জওয়ান। কোথাও গোলমালের খবর পেলেই বাড়তি ফোর্স পাঠানো হবে সেখানে।’’
এই সময় প্রতিদিনই প্লাস্টিক শিল্প এলাকা উমরপুর থাকে সরগরম। শয়ে শয়ে লোকের আনাগোনা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সারা দিনই উমরপুর ছিল শুনসান। কয়েকশো দোকানপাট পুরোপুরি বন্ধ।
এ দিন সুতিতে পুলিশ সুপার ইমামদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শুক্রবার নমাজের পর প্রতিটি মসজিদ থেকে ইমামরা যাতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে এই আবেদন করা হয়েছে।
জঙ্গিপুরে পরিস্থিতি সর্বত্রই ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায়।
পরিস্থিতি দেখতে দু’দিন ধরে জঙ্গিপুরে রয়েছেন আইজি গৌরব শর্মা, ডিআইজি মুর্শিদাবাদ ওয়াকার রাজা। দফায় দফায় তাঁরা এলাকা ঘুরে দেখেন, বৈঠক করেন।
এ দিন জঙ্গিপুরে পুলিশ সুপারের ঘরে তাদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘‘জঙ্গিপুরে যা ঘটেছে তা অনাকঙ্ক্ষিত। পুলিশকে বলা হয়েছে যে সমস্ত লোক এই হামলায় জড়িত, সকলকে গ্রেফতার করতে। এই হিংসাকে কোনওমতেই সমর্থন করবে না রাজ্য সরকার।’’
বিশেষ পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে সুতি থানার দায়িত্বে বসানো হয়েছে আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অসীম খানকে। তিনি এক সময় জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছিলেন। তাঁর সঙ্গে দেওয়া হয়েছে সাইবার ক্রাইম থানার আইসি প্রসূন মিত্রকে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)