Advertisement
১৫ জানুয়ারি ২০২৫
Murder

পণের দাবিতে মূক-বধির স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন! গ্রেফতার অভিযুক্ত স্বামী

অভিযোগ, শিশুকন্যার জন্মের পর থেকে বাড়তি পণ দাবি করতে শুরু করেন প্রশান্ত। বাপেরবাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হয় মধুমিতাকে। যার জেরে শুরু হয় অশান্তি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২২ ১৭:০৮
Share: Save:

শিশুকন্যার জন্মের পর থেকেই আরও পণের দাবিতে স্ত্রীর উপর চাপ দিতেন। এমনকি, স্ত্রীকে খুন করার চেষ্টাও করেছেন। তবে সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন তিনি। এর পর নবমীর দিন মূক-বধির স্ত্রীর সঙ্গে শিশুকন্যাকে খুন করে দড়িতে ঝুলিয়ে দেন তাঁর স্বামী। খুনের অভিযোগে দশমীর দিন মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের পাঠিয়েছে আদালত।

পুলিশ জানিয়েছে, বড়ঞা থানা এলাকার দেওয়ার গ্রামের বাসিন্দা মধুমিতা ঘোষ (২৭) এবং তাঁর সাত মাসের শিশুকন্যার নাম ঐশানী ঘোষকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে প্রশান্ত ঘোষ ওরফে সন্তুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার নবমীর দিন ওই দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মধুমিতার ঘর থেকে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মধুমিতার পরিবারের দাবি, বছর দুয়েক আগে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল মধুমিতা এবং প্রশান্তের। বিয়ের সময় পণ বাবদ নগদ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা এবং সোনার গয়না সমেত প্রচুর আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছিল প্রশান্তকে। অভিযোগ, শিশুকন্যার জন্মের পর থেকে বাড়তি পণ দাবি করতে শুরু করেন প্রশান্ত। বাপেরবাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হয় মধুমিতাকে। যার জেরে শুরু হয় অশান্তি।

মধুমিতার ভাই সৌরভ মণ্ডলের দাবি, ‘‘বছরখানেক আগে দিদিকে খাবারের সঙ্গে এলার্জির ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন জামাইবাবু। সে বার প্রায় দেড় মাস কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করে কোনও রকমে বেঁচে যায় দিদি। তবে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে সে। তার পর থেকেই দিদিকে খুন করার পরিকল্পনা করছিলেন জামাইবাবু। এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত খুন। ওঁর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’’ মধুমিতার আর এক ভাই মৃন্ময় মণ্ডলের দাবি, ‘‘দুপুর ১১টা ৪৬ নাগাদ দিদির বাড়িতে ফোন করলে জামাইবাবু বলেন, ‘মেয়ে খেলা করছে।’ ১১টা ৫২ মিনিটে ফোন করলে বলেন, ‘মেয়ে মারা গিয়েছে!’ এ-ও কি সম্ভব?’’

মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশান্তর বিরুদ্ধে বড়ঞা থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রশান্তকে গ্রেফতারির পাশাপাশি ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy