স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে মেয়েকে প্রায়শই বিরক্ত করতেন স্থানীয় এক যুবক। সেটা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেছিলেন শিক্ষক পিতা। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। তাই মেয়েকে অন্য স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন তিনি। সেই আক্রোশে ছাত্রীর বাবার উপরে হামলার অভিযোগ উঠল এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন। ভর্তি ছিলেন প্রায় ২৫ দিন। সোমবার কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৫২ বছরের সফিউল আলমের। মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের ঘটনা। শিক্ষকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শমসেরগঞ্জের রতনপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন সফিউল। তাঁর মেয়ে স্কুলছাত্রী। অভিযোগ, ওই এলাকার যুবক আহাদ শেখ ছাত্রীকে বিরক্ত এবং উত্ত্যক্ত করতেন। মেয়েটি বাড়িতে সে কথা জানালে এক বার ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলেন সফিউল। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। মেয়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে কিছু দিন আগে অন্য একটি স্কুলে ভর্তি করান শিক্ষক। তার পরেই হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:
জানা যাচ্ছে, দিন ২৫ আগে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় সফিউলের উপর ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন এক যুবক। শিক্ষকের শরীরে একের পর এক কোপ মেরে ওই যুবক পালিয়ে যান। স্থানীয়দের দাবি, ওই আক্রমণকারী আহাদ। রক্তাক্ত অবস্থায় সফিউলকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছিল শিক্ষককে। কিন্তু সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানিয়েছেন, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাঁকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পর নতুন ভাবে খুনের ধারা যুক্ত করে তদন্ত হবে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত এখনও জেল হেফাজতেই রয়েছেন। অন্য দিকে, শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।