ফাইল চিত্র।
তাঁদের রাজনৈতিক রং বদলে গিয়েছিল যাঁর হাত ধরে, মন্ত্রীত্ব এবং ক্রমান্বয়ে সরকারি পদ ছেড়ে রাজ্য রাজনীতিতে হইচই ফেলে দেওয়া সেই শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার সম্ভাবনা এখন প্রশ্ন তুলে দিয়েছে—তাঁর হাত ধরে যাঁরা দল বদলে ছিলেন, তাঁরা এখন কী করবেন?
প্রশ্নটা সহজ, কিন্তু উত্তরটা ঠিক ততোধিক কঠিন মনে করেই হয়তো দলবদলু তৃণমূলের সেই সব নেতারা এখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কেউ বা দার্শনিক ভঙ্গিতে বলছেন, ‘সময়ই সব বলবে।’ নির্বাচনের প্রাক্কালে সেই ‘সময়’ শব্দটা বড্ড দামি হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের দল বদলে তৃণমূলে নাম লেখানো জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রেও।
দলের জেলা পর্যবেক্ষক হওয়ার পর একদা কংগ্রেসের গড় মুর্শিদাবাদে একের পর এক কংগ্রেস নেতা-কর্মী-বিধায়ক-সাংসদ এমনকি, জেলার অধিকাংশ পুরসভা এবং জেলা পরিষদও তৃণমূল দখলে এসেছিল শুভেন্দুর চেষ্টায়। বেশ কিছু বাম বিধায়ক, জনপ্রতিনিধি তাঁর হাত ধরে নাম লেখান রাজ্যের শাসকদলে। তৃণমূলের অন্দরে এখন আলোচনায় সেই দল-বদলুরাই। দোটানায় পড়ে অনেকেই শিবির বদলেছেন। শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলে এলেও তাঁরা এখন শুভেন্দুর নাম মুখে আনছেন না। অনেকেই মনে করছেন, ‘জল মাপছেন’ তাঁরা। অর্থাৎ, পরিস্থিতি মেপে ফের শিবির বদলাবেন। প্রকাশ্যে মন্তব্য করে বিতর্ক বাধাতে চান না। শুভেন্দু অধিকারীর ‘সৌজন্যে’ই অধীরের বিরুদ্ধে বহরমপুর লোকসভায় প্রার্থী হয়েছিলেন কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক অপূর্ব সরকার। শুভেন্দু প্রসঙ্গে তাঁর সতর্ক মন্তব্য, “তিনি এখনও দলেই আছেন। পরে যা হবে দেখা যাবে।” সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নবগ্রামের বিধায়ক কানাই মণ্ডল আবার বলছেন, “কে, কোথায় কোন স্টেশনে নামল, তা দেখে লাভ নেই।” জলঙ্গিতে সিপিএমের দক্ষ সংগঠক হিসাবে পরিচিত ছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। তিনিও শুভেন্দুর হাত ধরে দল বদলে তৃণমূলে এসেছিলেন। তিনি বলেন, “এক জন পাড়ার কর্মী দল ছেড়ে চলে গেলেও মন খারাপ হয়। আমারও হবে।” ২০১১ এবং ২০১৬ সালে দু’বার কংগ্রেসের টিকিটে খড়গ্রামের বিধায়ক হয়েছিলেন আশিস মার্জিত। শুভেন্দুর হাত ধরে দল বদলের পরে এখন তৃণমূলের সেই নেতা বলছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতেই তৃণমূলে নাম লিখিয়েছিলাম। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে।” তবে তিনি জানিয়েছেন, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পরের নির্বাচনে টিকিট না পেলেও দল ছাড়বেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy