মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের আগে কোচবিহার তৃণমূলে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হল। শনিবার কোচবিহারের সিতাইয়ের বড় আটিয়াবাড়িতে তৃণমূলের বিধানসভাভিত্তিক কর্মিসভা হয়। সেখানে ছিলেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, জেলার সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। দলের অন্য গোষ্ঠীর নেতা প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং পার্থপ্রতিম রায়কে ওই সভায় দেখা যায়নি। এর আগেও দিনহাটার বিধানসভাভিত্তিক সভাতে তাঁরা হাজির ছিলেন না।
এ দিন রবীন্দ্রনাথ ও পার্থপ্রতিম রায়কে নাম না করে ‘দলছুট হাতির’ সঙ্গে তুলনা করে কটাক্ষ করেন জগদীশ। তিনি বলেন, ‘‘হাতি যদি দলছুট হয়, তা হলে কোনও না কোনও পাড়ায় গিয়ে ঢুকে পড়ে। তখন বন দফতর কুনকি হাতি নিয়ে আসে। ঘুমপাড়ানি গুলি করে সেই হাতিকে আবার দলে ফিরিয়ে দেয়। আমাদের এখানেও দু-একজন দল থেকে ছিটকে গিয়েছে। সেই খবর ইতিমধ্যেই বন দফতরের মালিকের কাছে গিয়েছে। মালিক এসে ঘুম পাড়ানি গুলি করে দলছুট হাতিদের ফিরিয়ে দেবে।’’
কোচবিহারের রাজনৈতির শিবিরে ‘কাকা-ভাইপো’ বলে পরিচিত রবীন্দ্রনাথ ও পার্থপ্রতিমকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি উদয়নও। তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা এখন কীর্তন করছেন। তার উদ্দেশ্য, দলের জেলা সভাপতি ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর পদ কী ভাবে চলে যায়, সে চেষ্টা করা।’’ দলের জেলা সভাপতিও কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গায় কেউ-কেউ বলেছেন, লোকসভায় জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া তিন লক্ষ ভোটে হারবেন। গণনার সময় যখন পরিস্থিতি বদলায়, তখন তাঁরাই গণনা কেন্দ্রের সামনে এসে আবির মেখে নিজস্বী তুলেছেন।’’
এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি রবীন্দ্রনাথ। পার্থপ্রতিম বলেন, ‘‘যাঁরা এ সব বলছেন, তাঁরাই এর ব্যাখ্যা দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy