ফরাক্কা সেতুতে দ্বিতীয় দফার কাজ শুরু হল সোমবার। তবে এ কাজ রাস্তার নয়, সেতুর পরিকাঠামোগত সংস্কার। তাই সোমবার সকালেই একটি লেন বন্ধ করে প্রতিটি স্তম্ভের উপরের সেতুর জংশন ঢালাই কেটে লোহার শিক বের করে তা পরীক্ষা করে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। দিল্লি ও হরিয়ানা থেকে বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁরা পরীক্ষা করে দেখছেন সেগুলি। তার পর প্রয়োজন মত সিমেন্টের ঢালাই পড়বে সেখানে। সেতুতে সিমেন্টের এই কাজ শুরুর ফলে সেখান দিয়ে ছোট বড় কোনো যানই চালানো যাবে না তা জমাট বেঁধে রীতিমত শক্ত পোক্ত না হওয়া পর্যন্ত। তাই এক লেন দিয়েই চলবে সমস্ত যানবাহন।
রবিবার রাত থেকে পুলিশের নজরদারি বসেছে সাগরদিঘির মোরগ্রামে। বহরমপুরের দিক থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক পথে আসা সমস্ত ভারি যানকেই মোরগ্রামে আটকে দেওয়া শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী ছাড়া সমস্ত দশ চাকা ও ভারি গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে মোরগ্রাম পানাগড় ৬০ নম্বর স্টেট হাইওয়ের সড়ক পথে। অনেক লরি চালকেরই এ দিন জানা ছিল না ফরাক্কার সেতু বন্ধের কথা। ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাঁদের। তাঁদেরই এক জন অন্ধ্রপ্রদেশের ভেঙ্কটাইয়া রাজু। তিনি বলেন, “শিলিগুড়ি যেতে আমাকে কিসানগঞ্জের সড়ক ধরতে হবে। অন্তত দেড়শো কিলোমিটার সড়ক বেশি পেরোতে হবে।” তবে ফরাক্কা এলাকার স্থানীয় লরিগুলি অবশ্য সরাসরি ধুলিয়ান হয়ে পাকুড়ের রাস্তা ধরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক বা ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ডালখোলা পৌঁছুতে পারবে। ধরতে পারবেন ৮০ নম্বর জাতীয় সড়কও। ফরাক্কার বেনিয়াগ্রাম লরি মালিক সংগঠনের সম্পাদক ফাইজুর রহমান বলছেন, “যাঁরা মালদহ, বা রায়গঞ্জ যাবেন তাঁদের ডালখোলা গিয়ে আবার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক পথে ঘুরে আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে খরচ বাড়বে।” ফরাক্কা ব্যারাজের জেনারেল ম্যানেজার শৈবাল ঘোষ অবশ্য জানান, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ফরাক্কা ব্যারাজের সেতুর কাজ চলার কথা ৩১ মার্চ পর্যন্ত। তত দিন বন্ধ থাকবে ভারী যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy