সেই রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল সাগরদিঘিতে। খোদ তৃণমূলেরই একদল নেতা এবং গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে বন্ধ হয়ে গেল দু’টি রাস্তার নির্মাণকাজ। ১৬ এবং ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই দু’টি রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।
সাগরদিঘি জুড়ে ভোটের আগে যত রাস্তা ও জলাধার নির্মাণ হচ্ছে সেগুলি সবই নিম্নমানের বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারেরাই এ সব কাজের বরাত পেয়েছেন। এর আগেও সাগরদিঘিতে জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে হওয়া একাধিক কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। শুক্রবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চন্দনবাটী থেকে ভায়া বারালা হয়ে ঘুগড়িডাঙা ও গোপালদিঘি থেকে পলসন্ডা মোড় পর্যন্ত রাস্তা দু’টির কাজ। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের এই বিক্ষোভকে সঙ্গত বলে জানিয়ে তা সমর্থন করেছেন সাগরদিঘির তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য ভারতী হাঁসদাও। ভারতী বলেন, “ওই রাস্তা দু’টি তৈরি করা আমাদের বহুদিনের স্বপ্ন। ওই এলাকার মানুষ রাস্তা বেহাল থাকায় তা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এনেছিলেন। জেলা পরিষদ দু’টি রাস্তা নির্মাণে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কিন্তু রাস্তায় মাটির সঙ্গে বড় বড় পাথর ফেলা হচ্ছে যা রাস্তার কাজে ব্যবহার করা যায় না। কী শিডিউল মেনে কাজ হচ্ছে, তা দেখতে চাওয়া হলেও দেখানো হয়নি।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘একটি রাস্তার বেশির ভাগ অংশ গিয়েছে ফাঁকা মাঠের মধ্যে দিয়ে। ফলে সেখানে কাজ দেখাশোনা করার কেউ নেই। এই সুযোগে নিম্নমানের রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে।’’
জেলা পরিষদের ওই সদস্যের দাবি, ‘‘রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়ে কোনও অন্যায় করেননি সেখানকার তৃণমূল কর্মী ও গ্রামবাসীদের একাংশ। রাস্তা খারাপ হলে জবাবদিহি তো আমাদেরই করতে হবে। বোর্ড টাঙিয়ে, শিডিউল মেনে রাস্তা করতে হবে।” এ দিন এক বাসিন্দা বলেন, “পাশেই নবগ্রামের বিধায়কের বাড়ি। আমি তাঁকে গিয়ে নিম্নমানের রাস্তা নিয়ে অভিযোগ করেছিলাম। তিনিও বলেছেন, রাস্তার কাজ দেখে নিতে হবে। নির্মাণ খারাপ হলে মেনে নেব না।’’ স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, “যে ঠিকাদার সংস্থা ওই রাস্তা দু’টির কাজ করছেন তিনি জেলারই এক বিধায়কের ঘনিষ্ঠ। জেলা পরিষদের কেউ থাকছেনও না নজরদারিতে। আমরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এলাকাতেই থাকব, রাস্তা দু’টি ব্যবহার করব। তাই কাজে বাধা দিয়েছি।’’ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সামসুজ্জোহা বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। সোমবার ইঞ্জিনিয়ারদের ওখানে পাঠাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy