নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই নেতার নাম সৈকত দাস। বাড়ি শান্তিপুর থানায় ফুলিয়া এলাকায়। তিনি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা কমিটির সম্পাদক বলে সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে।
অভিযোগ, মাস চারেক আগে ফুলিয়ার বুঁইচা-ঘোষপাড়ার বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ধর্ষণ করে সৈকত। এই ঘটনার পরে চাপ দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল পরিবারের। শেষ পর্যন্ত সোমবার সকালে শান্তিপুর থানায় সৈকতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার পরিবারও তৃণমূল করে। সেই সূত্রে তার সঙ্গে সৈকতের আলাপ। পরে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। পরিবারের দাবি, সেই ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে বাড়িতে আসা যাওয়াও শুরু হয়। তেমনই এক দিনে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
ওই নাবালিকার কাকার অভিযোগ, ‘‘প্রায় চার মাস আগে আমার ভাইঝিকে ধর্ষণ করেছিল সৈকত। আমরা জানতে পারি পরে। লজ্জায় ভাইঝি বাড়িতে কিছু বলতে পারেনি। পরে আমরা সৈকতেরই এক ঘনিষ্ট যুবকের মাধ্যমে জানতে পারি।’’ তিনি বলেন,‘‘কিন্তু ওদের হুমুকির কারণে আমরা প্রথমে ভয়ে অভিযোগ জানাতে পারিনি।’’
এ দিন সৈকতবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না জানিয়ে দিয়ে লাইন কেটে দেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে তীব্র নিন্দা করতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। ফুলিয়া এলাকার বাসিন্দা সিপিএমের শান্তিপুর জোনালের সম্পাদক অনুপ ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি এখন সকলেই জেনে গিয়েছে। সৈতকবাবুর স্ত্রী ও মেয়ে আছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। এখন দেখার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কি না?’’
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমার এমন কোনও ঘটনার কথা জানা নেই। তবে অভিযোগ যদি হয়ে থাকে তাহলে আইন আইনের পথে চলবে।’’
জেলার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, ‘‘ধর্ষণের অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তারপরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy