Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Nadia Murder Case

‘অন্তঃসত্ত্বা’ প্রেমিকা বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় খুন করে পুঁতে দিলেন যুবক! নদিয়ায় নাবালিকার হত্যায় চাঞ্চল্য

মৃতা এবং ধৃতের বাড়ি নদিয়ার ভীমপুর থানা এলাকাতেই। বছর চব্বিশের যুবকের সঙ্গে ১৭ বছরের মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। চার দিন ধরে মেয়েটি নিখোঁজ ছিল। পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ভীমপুর শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৩
Share: Save:

গত চার দিন ধরে নিখোঁজ ছিল নাবালিকা। আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করা হয়েছিল। কোথাও খোঁজ মেলেনি। শেষে পুলিশের দ্বারস্ত হয়েছিল পরিবার। রবিবার একটি জায়গায় মাটি খুঁড়ে ১৭ বছরের মেয়েটির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। এ নিয়ে উত্তেজনা নদিয়ার ভীমপুর থানা এলাকায়। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতার প্রেমিককে। বস্তুত, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই নাবালিকার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা ছিল ওই নাবালিকা। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রেমিক তাকে খুন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৃতা এবং ধৃতের বাড়ি ভীমপুর থানা এলাকাতেই। পেশায় রাজমিস্ত্রি বছর চব্বিশের যুবকের সঙ্গে ১৭ বছরের মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নাবালিকার পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, চলতি মাসের ২১ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল মেয়ে। পুলিশ নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর মেয়েটির প্রেমিকের খোঁজ পান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই যুবককে আটক করে পুলিশ। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সেই যুবক প্রেমিকার খোঁজ দেন। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, অভিযুক্ত স্বীকার করে নিয়েছেন যে, প্রেমিকাকে খুন করে একটি জায়গায় পুঁতে দিয়েছেন তিনি। এর পর সংশ্লিষ্ট জায়গায় গিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি করে দেহ পায় পুলিশ।

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, সম্প্রতি প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল ওই নাবালিকা। কিন্তু এখনই বিয়ে করতে রাজি হননি যুবক। অন্য দিকে, পরিবারের দাবি, প্রেমিককে মেয়েটি জানিয়েছিল সে অন্তঃসত্ত্বা। তখন তাকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দেন প্রেমিক। কিন্তু অনাগত সন্তান নষ্ট করতে রাজি হয়নি ১৭ বছরের নাবালিকা। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে মন কষাকষি চলছিল। তার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে যায় মেয়েটি। বাড়ির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও কোথাও পায়নি মেয়েকে। মৃতার কাকা সেলিম শেখ বলেন, ‘‘ছেলেটি ভাল নয় বলেই আমরা জানতাম। ওর সঙ্গে মেলামেশা করতে ভাইঝিকে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু ও আমাদের কারও কথা শোনেনি। তার পর এই পরিণতি। ছেলেটির কঠোর শাস্তি চাই আমরা।’’ বস্তুত, নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর রবিবার সকাল থেকে শোরগোল এলাকায়। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় মিত কুমার মাকোয়ান বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে। তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Case Crime News Nadia Bhimpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy