ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বিভিন্ন দফতরে আবেদন জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কমবেশি তেরো বছর ধরে নামমাত্র ভাতায় কাজ করে চলেছেন সাফাই কর্মীরা। ভাতা না-বাড়লেও দিনে ছয় ঘণ্টা কাজ করতে হয় তাঁদের। বিনিময়ে চড়া মূল্যবৃদ্ধির কালে মাসে মাত্র ৫৫০ টাকা ভাতা মেলে। যে কারণে চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছেন তাঁরা। ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বিভিন্ন দফতরে আবেদন জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলে জানান তাঁরা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করিমপুরে গ্রামীণ এলাকায় সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্বাস্থ্য বিভাগের বেশ কিছু জায়গায় ওই সাফাই কর্মীরা কাজ করেন। শুরুতে তাঁরা এলাকায় ‘দাইমা’র কাজ করতেন। ১৯৮৭ সালে স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন কেন্দ্রে সাফাই কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। করিমপুরের বাঁশবেড়িয়া সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাফাই কর্মী জ্যোৎস্না বিশ্বাস বলছেন, ‘‘১৯৮৭ সালে আমাদের মাসে ৫০ টাকা ভাতা দেওয়া হত। ২০০১ সালে ভাতা বেড়ে হয় ১০০ টাকা। তার পর ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত কোনও ভাতা পাইনি। সে সময় শুনেছিলাম আমাদের কাজ আর থাকবে না। ২০১০ সালের পর থেকে ৩০০ টাকা ভাতা মেলে। ২০১১ সাল থেকে ৫৫০ টাকা করে ভাতা দেওয়া শুরু হয়েছে।’’
শিকারপুর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাফাই কর্মী বিশাখা সরকার, অসীমা দাস, সেনপাড়া সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী পবিত্রা দাস-সহ একাধিক সাফাই কর্মীর অভিযোগ, ১৩ বছর আগে থেকে ৫৫০ টাকা করে ভাতা পেয়ে আসছেন। যা বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির বাজারে নগণ্য। কিন্তু সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। এই সমস্যা রাজ্যে সর্বত্র।
দোগাছি গ্রামের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী লায়লা বিবি, টিকরামপুর গ্রামের প্রমীলা ঘোষ, ধোড়াদহ গ্রামের যমুনা দাস-সহ একাধিক সাফাই কর্মীর আক্ষেপ, ‘‘এখন বাজারে ৫৫০ টাকায় কিছু হয়? বর্তমান রাজ্য সরকার যখন নানা দফতরের কর্মীদের ভাতা বৃদ্ধি করছেন তখন আমাদের মতো সাফাই কর্মীদের কেন বঞ্চিত করছেন? সমস্যাটা শুধু করিমপুর কিংবা নদিয়া জেলায় নয়, পুরো পশ্চিমবঙ্গেই। ভাতা বৃদ্ধি করতে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে শুরু করে স্থানীয় বিধায়ককে জানিয়েছি। কোনও কাজ হয়নি।’’
করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালের সুপার মনীষা মণ্ডল বলেন, ‘‘কর্মী সংখ্যা অনুযায়ী আমাদের কাছে বরাদ্দকৃত টাকা আসে। সেই টাকা কর্মীদের মধ্যে বণ্টন করে দিই। এর বেশি আমার কিছু বলার নেই।’’ করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায় বলেন, ‘‘বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে আনব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy