Advertisement
E-Paper

ভরসন্ধ্যায় কুলতলির বাড়িতে ডাকাতি! পরিবারের ছয় সদস্যের হাত-পা বেঁধে লুটপাঠ

রবিবার কুলতুলির যে বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে, সেটি গরানকাটি এলাকায়। বাড়ির কর্তার নাম লখাই ঘাটা। তিনি কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন।

— প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১১:১৭
Share
Save

সবে সন্ধ্যা নেমেছে। ছেলেমেয়েদের পড়াচ্ছিলেন মা। হঠাৎই হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে পড়ল ডাকাতদল। তার পর অস্ত্র দেখিয়ে সবার হাত-পা বেঁধে চলল লুট। অভিযোগ, মারধরও করা হয়েছে বাড়ির সকলকে। ডাকাতদল চলে যাওয়ার পর বাড়ির এক খুদে সদস্য সবার হাত-পায়ের বাঁধন খোলে। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি এলাকায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে চুরি এবং ডাকাতির খবর মিলেছে।

রবিবার কুলতুলির যে বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে, সেটি গরানকাটি এলাকায়। বাড়ির কর্তার নাম লখাই ঘাটা। তিনি কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। কুলতলির বাড়িতে থাকেন স্ত্রী, সন্তান-সহ পরিবারের ছয় সদস্য। লখাইয়ের স্ত্রী শবরী ঘাটা জানান, বাচ্চাদের পড়াচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ বাড়ির সামনে দিয়ে কয়েক জন ‘তপন-তপন’ বলে হাঁক দিতে দিতে যাচ্ছিলেন। তার কিছু ক্ষণের মধ্যে বাড়িতে একসঙ্গে জনা ছয়েক লোক ঢুকে পড়ে। তাদের হাতে ছিল ধরালো অস্ত্র। ঘরে ঢোকামাত্র খুদে থেকে বড়, প্রত্যেকের হাত-পা বেঁধে দেয় তারা। শাসানি দিতে দিতে চলে লুটপাট।

স্থানীয়দের দাবি, লুটের সময় যাতে প্রতিবেশীরা কেউ বুঝতে না পারেন সে জন্য লখাইয়ের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। আর বাড়ির কারও চিৎকার যাতে কেউ শুনতে না পান, সে জন্য অন্ধকারের মধ্যে পরিচিত এক জনের নাম ধরে ডাকাডাকি শুরু করেছিল ডাকাতদল। পরে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে নগদ টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় তারা। গৃহকর্ত্রীর দাবি, নগদ ৫ হাজার টাকা ছাড়াও সোনার হার, আংটি এবং কানের দুল নিয়ে গিয়েছে ডাকাতদল। তিনি বলেন, ‘‘ছোট মেয়ের হাত খোলা রেখেছিল। লুটপাট করে চলে যাওয়ার পর ও-ই আমাদের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দেয়। তার পর আইজুল মিস্ত্রি নামে আমাদের এক প্রতিবেশীকে ডাকাডাকি করে। তিনি এসে পুলিশে খবর দিয়েছেন।’’ বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘ডাকাতির মামলা রজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’’

Robbery Kultali Crime News police

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}