মুর্শিদাবাদের লালগোলায় একটি বেসরকারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রকে স্কুলের মধ্যে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রেফতার হলেন ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক। আহত ওই ছাত্রের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁর জেলে হেফাজতের নির্দেশ দেন। ভগবানগোলার এসডিপিও উত্তম গড়াই বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছি। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাকি তদন্ত চলছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসে ওই বেসরকারি আবাসিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিল শিশুটি। অভিযোগ, ২৪ মার্চ ওই বেসরকারি স্কুলের হস্টেল থেকে এক শিক্ষকের টাকা চুরি যায়। সেই ঘটনায় শিশুটিকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শিশুটির বাবা বলেন, ‘‘স্কুলে সিসি ক্যামেরা থাকলেও আমার ছেলে যে টাকা চুরি করেছে, তার কোনও প্রমাণ ওই শিক্ষক দিতে পারেননি। আমার ছেলের থেকে কোনও টাকাও উদ্ধার হয়নি। সন্দেহের বশে প্রধান শিক্ষক আমার ছেলেকে বিবস্ত্র করে মারধর করেন।’’
ওই ব্যক্তির আরও অভিযোগ, তাঁর ছেলে যাতে কাউকে কিছু না জানায়, সে জন্য প্রধান শিক্ষক হুমকিও দিয়েছিলেন। শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি তাকে হস্টেল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এর পরে ছেলেটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটির বাবার অভিযোগ, সেই সময় প্রধান শিক্ষক তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে গোটা বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এর পরেই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই বিষয়টিতে ইতিমধ্যে জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটিও হস্তক্ষেপ করেছে।