পরনে কালো রঙের পাঞ্জাবি। জোরে হাঁটতে হাঁটতে পাঠ করছিলেন ‘হনুমান চালিসা’। চারদিকে ঘিরে রয়েছেন পুলিশ এবং নিরাপত্তাকর্মীরা। অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র বলে কথা। গুজরাতের জামনগর থেকে তিনি নাকি দ্বারকা হেঁটে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গন্তব্যের অভিমুখে যাত্রাও করে দিয়েছেন অনন্ত অম্বানী। সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘বিরলভয়ানী’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, ‘হনুমান চালিসা’ পাঠ করতে করতে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছেন অনন্ত। তাঁকে ঘিরে রয়েছেন পুলিশ এবং নিরাপত্তাকর্মীরা। সামনে তাঁদের গাড়িও রয়েছে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে, জামনগর থেকে দ্বারকার উদ্দেশে হেঁটে রওনা দিয়েছেন অনন্ত। দ্বারকার মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করতে চান তিনি। প্রতি দিন ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পথ হাঁটবেন অনন্ত। জামনগর থেকে রওনা হওয়ার ১২ দিনের মধ্যে দ্বারকা পৌঁছোনোর কথা অম্বানী-পুত্রের।
জামনগর থেকে দ্বারকার সড়কপথে দূরত্ব ১৪০ কিলোমিটার। গাড়িতে এই পথ যেতে প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগার কথা। সেই পথ হেঁটেই পার করছেন অনন্ত। জামনগর থেকে রওনা দিয়েছেন তিনি। যদিও এই প্রসঙ্গে অম্বানী পরিবারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই অনন্তকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কেউ চিন্তা প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘অনন্তের পক্ষে কি এতটা পথ হেঁটে যাওয়া সম্ভব?’’ আবার কেউ কেউ অনন্তের করা এই পদক্ষেপের প্রশংসাও করেছেন।