চলছে ক্লাস। তেহট্টে। নিজস্ব চিত্র
‘পড়ো-লড়ো-পাল্টাও’— এই স্লোগান তুলে শনিবার সকাল থেকে এসএফআই তেহট্ট দক্ষিণ আঞ্চলিক কমিটির তরফে শুরু হল ‘বিকল্প পাঠশালা’। স্কুল চালু না হওয়া পর্যন্ত এই পাঠদান প্রক্রিয়া চলবে বলে জানা গিয়েছে।
সংগঠনের তরফে অভিযোগ, বর্তমানে প্রশাসনিক নানা বিধিনিষেধের মধ্যেও পানশালা, খেলাধুলো, শুটিং, মেলা সবই চলছে। কিন্তু স্কুল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন স্কুলছুটদের সংখ্যা বাড়ছে, একই ভাবে বহু মেধাবী পড়ুয়াও দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে পড়াশোনার সঙ্গে সংযোগ হারাচ্ছে। তাই তাদের পড়াশোনায় ফিরিয়ে আনায় উদ্যোগী হয়েছে এসএফআই তেহট্ট আঞ্চলিক কমিটি। সংস্থার সদস্যেরা পরিকল্পনা করে শুরু করলেন বিকল্প পাঠশালা।
শনিবার সকালে তেহট্টের ছাতিনা কালিতলা পাড়া এলাকার শুরু হল এই কর্মসূচি। পঞ্চম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়ালেন ওই কমিটির সদস্যেরা। করোনা বিধি মেনে দূরত্ববিধি বজায় রেখে নির্দিষ্ট শ্রেণির পড়ুয়াদের লাইন করে এই পাঠদান চলল এ দিন দুপুর পর্যন্ত। আঞ্চলিক কমিটির সদস্যদের থেকে জানা গিয়েছে, কল্যাণী তাহেরপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এই পাঠশালা। শনিবার ছাতিনায় শুরু হল পাঠদান প্রক্রিয়া।
প্রথম দিন ওই পাঠশালায় পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি মিলিয়ে মোট ২৫ জন পড়ুয়া উপস্থিত ছিল। আগামী দিনে পড়ুয়াদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন কমিটির সদস্যেরা। তেহট্ট এসএফআই দক্ষিণ এরিয়া কমিটির সম্পাদক সমীর সরকার বলেন, “আজকের পড়ুয়া ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে স্কুল ছাড়া সব কিছুই খোলা। তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী করে রাখতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা।”
এ দিনের বিকল্প পাঠশালায় পাঠ দিয়েছেন আঞ্চলিক কমিটির সদস্য সরজিৎ শিকদার, স্বপন বিশ্বাস ও সিপিএম যুব নেতা মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। তাঁরা বলেন, “অভিভাবকেরাও চান তাঁদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার মধ্যেই থাকুক। কিন্তু স্কুল খোলা না থাকায় আমরা নিজেরাই পড়ুয়াদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy