Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
SFI

নিজেদের খরচেই ইনসাফ সভায় জেলার বাম ছাত্র-যুব

সূত্রের দাবি, জেলার ছাত্র-যুবদের ধর্মতলায় জমায়েতের পিছনে ছিল যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ও সভাপতির গোপন বৈঠক।

ধর্মতলায় জেলার বাম কর্মীরা।

ধর্মতলায় জেলার বাম কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।

বিদ্যুৎ মৈত্র
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৩৮
Share: Save:

কলকাতায় বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকে ‘ইনসাফ সভা’ থেকে ফেরার পথে জেলার ছাত্র যুবদের মুখে ঘুরছে ‘নজরে পঞ্চায়েত’-এর কথা। যা সিপিএমের নয়া কর্মসূচি। ‘নজরে পঞ্চায়েত’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বামেরা গ্রাম বাংলায় ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে ছাত্র ও যুবদের কাঁধে ভর করে। গ্রামে গ্রামে নিজেদের কর্মসূচিই হোক কিংবা সংগঠনের সম্মেলন জেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে নিয়ম করে সভা করছে সিপিএম। সেখানে ভিড় সেই ছাত্র যুবদেরই। ডিওয়াইএফ-এর জেলা সম্পাদক সন্দীপন দাসের দাবি, “মঙ্গলবারের ইনসাফ সভা আমাদের মনে জোর এনেছে। মানুষের দাবি আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই।”

তিনি বলেন, “জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে নিজেদের পকেটের পয়সা খরচ করে বাস ভাড়া করে ধর্মতলায় গিয়েছে ছাত্র-যুবরা। ধুলিয়ান, লালগোলার মতো এলাকা থেকেও তাঁরা আগের দিন রাতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ধর্মতলা।” এ দিন পুলিশ ও যুবদের মধ্যে কোনও সংঘাত বা বাকবিতণ্ডা না হওয়ায় সন্দীপন কৃতিত্ব দিচ্ছেন ছাত্র ও যুবদের। সন্দীপনের দাবি, “তৃণমূলের পুলিশ ভয় পেয়েছে। ভাবতে পারেনি তলায় তলায় ছাত্র যুবরা এত বড় জমায়েতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।” তিনি বলেন, “জমায়েতের জন্য আমাদের পাঁচ হাজারের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল রাজ্য থেকে। বাস্তবে তা ছাপিয়ে গিয়েছিল বিনা ধমকানি ও চমকানিতে।” ছাত্র সংগঠনের জেলা সম্পাদক শাহনাওয়াজ ইসলাম বলেন, “আজকের সভায় ছাত্র যুবদের উচ্ছ্বাস দেখে তাঁদের পতনের দিন গুনতে শুরু করেছে তৃণমূল।

সূত্রের দাবি, জেলার ছাত্র-যুবদের ধর্মতলায় জমায়েতের পিছনে ছিল যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ও সভাপতির গোপন বৈঠক। বহরমপুর লাগোয়া চুনাখালিতে মঙ্গলবারের ‘ইনসাফ সভা’কে সামনে রেখে চলতি মাসের ৬ তারিখ রাতভর যুব সংগঠনের জেলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা। সেই বৈঠকেই ঠিক হয়েছিল জেলা থেকে জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা। লোকাল কমিটি পিছু বেঁধে দেওয়া হয়েছিল লক্ষ্যমাত্রা।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি ভীষ্মদেব কর্মকার বলেন, “ওদের পাপের বোঝা জেলার প্রতিটি মানুষ এখনও বইছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অভিশপ্ত দিনগুলো ভুলিয়ে পিছিয়ে পড়া এই জেলাকে অনেক এগিয়ে দিয়েছে। ওরা জেগে স্বপ্ন দেখছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

SFI DYFI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy