ফাইল চিত্র।
বন্যার বিধ্বংসী চেহারা কী হতে পারে, গত কয়েকদিন টেলিভিশনের পর্দায় ওরা দেখেছে। কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে কেরলের বন্যাদুর্গতদের যন্ত্রণায় কষ্ট পেয়েছে ওরাও। তারপরই কর্তব্য স্থির করে নিয়েছিল ডোমকলের সাগরপাড়া প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা। বন্যাত্রাণে সাহায্য করতে গত কয়েকদিন ধরে টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে টাকা তুলেছে তারা। এভাবে কয়েক হাজার টাকা তুলে ফেলেছে তারা। সম্প্রতি স্কুল কর্তৃপক্ষ আট হাজার টাকা কেরলে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সাগরপাড়া স্কুলের পড়ুয়া সোনিয়া সাবনুর বলল, ‘‘দিনকয়েক আগে আমাদের স্কুলের মাস্টারমশাইয়েরা বন্যাত্রাণে সাহায্য করার জন্য বললেন। বাড়িতে বলতেই টাকা দিয়ে দেন বাবা। আমরাও টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে টাকা জমিয়েছি। রাস্তায় নেমে চাঁদা তুলি।’’ অনন্য সরকার নামে আরেক ছাত্রীর কথায়, ‘‘টিভিতে দেখছিলাম, বন্যার জলে ভেসে যাচ্ছে বাড়িঘর। চারদিকে জল। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের নিয়ে নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন বাবা-মা’রা। দেখে খুব দুঃখ হচ্ছিল। তাই চাঁদা তুলতে দেরি করিনি।’’ ওই স্কুলের শিক্ষক প্রত্যূষ সরকার বললেন, ‘‘এর আগে এ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বন্যা হলে তখনও আমরা ত্রাণে সাহায্য করেছিলেন। কেরলের ভয়াবহ বন্যার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ ত্রাণ সাহায্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতোই প্রত্যেক স্কুল ছাত্রীর কাছে সাধ্যমতো সাহায্য চাওয়া হয়েছিল।’’
অন্যদিকে, ডোমকলের মাঠপাড়ার যুবক সাইফুল ইসলাম কেরলে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে বন্যার কবলে পড়েছিলেন। তিনদিন ধরে একটি বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মতো আরও ন’জন বন্যাদুর্গত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে ডোমকলের ইটভাটা মালিকদের একটি সংগঠন। বুধবার ওই সংগঠনের তরফে ১০ শ্রমিকের হাতে তিন হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy