মাঠে নয়, স্কুল ভবনের ছাদে ফলেছে আনাজ। নিজস্ব চিত্র
স্কুলভবনের ছাদ জুড়ে আলো করে রয়েছে নানা ধরনের আনাজ। তাই দিয়েই বানানো হয় দুপুরের খাবার। পাঠ দানের পাশাপাশি পড়ুয়াদের কথা ভেবে স্কুেলর ছাদে আনাজ ফলিয়েছিলেন শিক্ষকেরা। তা দেখে খুব প্রশংসা করেছিলেন রাজ্য থেকে আসা এক প্রতিনিধি দল।
শুধু প্রশংসা নয়, মিলল স্বীকৃতিও। ২০১৭ সালে রাজ্যে সেরা স্কুল হিসেবে যামিনী রায় পুরস্কার পেল বেলডাঙার ৪০ নম্বর ‘নওপুকুরিয়া নূতনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়’। মঙ্গলবার জেলা শিক্ষা দফতর থেকে মেল করে ওই সংবাদ স্কুলকে জানানো হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পানপিয়ারা খাতুন বলেন, ‘‘গত চার বছর ধরে আমরা নমিনেশন পেয়েছি। এ বার প্রথম হলাম। শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় এই সাফল্য। তবে শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্তের কথা আলাদা করে বলতেই হয়।’’
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা কতটা নিরাপদ, ছাত্রদের মান, পড়ানোর মান, পানীয় জল, শৌচাগার, মিড ডে মিলে পরিচ্ছন্নতা, খাওনোর মান, স্কুলের সৌন্দর্য সব কিছু বিচার করে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। তাতে প্রথম হয় ওই স্কুল। আগামী ১৫ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী স্কুলের হাতে তুলে দেবেন।
স্কুল সূত্রে খবর, জেলা থেকে স্কুলের নাম রাজ্যে পাঠানো হয়। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদল রাজ্যের ২৩টি জেলায় ঘুরে স্কুল নির্বাচন করেন। সেই বিচারে ওই স্কুল রাজ্যে প্রথম হয়।
স্কুল আগে ২০১৭ প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ বিদ্যালয়, ২০১৪ সালে জেলার সেরা বিদ্যালয়, ২০১২ সালে নির্মল বিদ্যালয়, ২০১২ সালে শিশুমিত্র পুরস্কার লাভ করে। বর্তমানে স্কুলের ছাদে শাক ও আনাজের চাষ চলছে। সঙ্গে মাছ চাষ। এইগুলি ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিলের রান্নয় নিয়মিত ব্যবহৃত হয়। ছাদে এই ধারার বাগান রাজ্যের প্রতিনিধিদের মুগ্ধ করেছে। সঙ্গে পরিচ্ছন্ন শৌচাগার। বর্তমানে স্কুলে ৫১৩ জন ছাত্র। ও শিক্ষক সংখ্যা ১২ জন। সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সৌগত মাইতি বলেন, ‘‘ওই স্কুলের জন্য জেলার নাম সুনাম বেড়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy