—প্রতীকী চিত্র।
বিকট শব্দে উড়ে গেল বিজেপি নেতার গোয়ালঘরের একটি অংশ। ধোঁয়ায় ঢেকে গেল গোটা বাড়ি। প্রতিবেশীরা বিস্ফোরণের উৎস খোঁজার আগেই বেপাত্তা বাড়ির মালিক। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ভীমপুর থানার চাপড়া ব্লকের বাগবেরিয়া পঞ্চায়েতের কুলতলা এলাকায় ঘটনা। বিস্ফোরক থেকেই এই বিস্ফোরণ কি না, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে একটি সকেট বোমার টুকরো উদ্ধার হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। অন্য দিকে, যাঁর গোয়ালঘরে এই বিস্ফোরণ হয়েছে, তিনি বিজেপি কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। ঘটনার পর থেকেই পরিবার নিয়ে তপন ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, তপন-সহ বেশ কয়েক জনের নামে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বেলা ১টা নাগাদ ভীমপুর থানার কুলগাছি গ্রামের ঘোষপাড়ায় বিস্ফোরণের শব্দ হয়। স্থানীয়েরা ভেবেছিলেন তপনের বাড়ির উঠোনেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে। যদিও পুলিশ রান্নাঘরের ভিতরে জ্বালানি বাঁশের আড়াল থেকে ফাটা বোমার খোল উদ্ধার করে। বিস্ফোরণের প্রমাণ ঢাকতেই বোমার খোল ওখানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।
সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতে বর্তমানে তৃণমূলের ৮ এবং বিজেপির ৬ জন সদস্য রয়েছেন। তাই এলাকায় শাসক-বিরোধী শিবির একে অপরকে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর দিচ্ছে। এই বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই বিজেপি আবার বোমা-বন্দুকের রাজনীতি আমদানি করতে চাইছে। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তা প্রতিহত করব।’’ যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিজেপি কর্মীদের পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফাঁসানোর চক্রান্ত তো নতুন কিছু নয়। তবে কেউ যদি অপরাধ করে থাকেন, আইন আইনের পথে চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy