—ফাইল চিত্র
ওপার বাংলার দর্শনার একটি চিনিকল কর্তৃপক্ষ মাথাভাঙা নদীতে দূষিত বর্জ্য ফেলছে। যার জেরে মাথাভাঙা ও চূর্ণিতে দূষণ ছড়াচ্ছে। মাস খানেক আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছিল মাজদিয়ার ‘মাথাভাঙা ও চূর্ণি রিভার বাঁচাও’ কমিটি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দফতর ওই সংস্থার সম্পাদক স্বপনকুমার ভৌমিককে চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সেকশন অফিসার সমীর কুমার স্বপনবাবুকে চিঠি দিয়ে জানান, চিঠির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
এ বিষয়ে চিঠি পাওয়ার পর দেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এ বিষয়ে রাজ্যকে দু’দফায় চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলেছে।
এই পরিস্থিতিতে আজ, বৃহস্পতিবার মাজদিয়ায় একদিনের অবস্থান কর্মসূচী নিচ্ছে কমিটি। মাজদিয়ায় মাথাভাঙা নদীর সেতুর পাশে অবস্থান হবে। সেখানে ‘নদীর দূষণ এবং তাঁর প্রতিকার’ নিয়ে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে এলাকার লোকজনের সই সংগ্রহ করা হবে। এক লক্ষ সই সংগ্রহ করে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো হবে।
গত সপ্তাহে কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক বৈঠকে এসেছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলেন, “দিদি মাথাভাঙা ও চূর্ণির জল দূষিত হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিষয়টি নজরে আছে। মুখ্যসচিব দেখছেন।”
মাথাভাঙা এবং চূর্ণির দূষণ রোধের দাবি এই প্রথম নয়। বছর দু’য়েক আগে রাজশাহীতে দু’দেশের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে নদিয়ার তৎকালীন জেলাশাসক বিজয় ভারতী দূষণের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। চুয়াডাঙার জেলা কালেক্টর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি। উল্টে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাসিন্দারা জানান, চিঠি চালাচালি নয়, আমরা চাই দ্রুত দূষণ নিয়ন্ত্রণ হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy