কর্মসূচিতে বেরিয়ে পথের ধারেই খাওয়া তৃণমূল নেতৃত্বের। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও অভিযোগের কথা শোনার জন্য রাজ্য জুড়েই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ‘দিদির দূত’ ও ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি নিয়েছে। সেখানে দলের বিধায়ক ও সাংগঠনিক নেতৃত্ব এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। কিন্তু সেখানে আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগেই কান ঝালাপালা হচ্ছে দলের নেতাদের।
শনিবার ভরতপুর ২ ব্লকের বড়ঞা বিধানসভা এলাকার গুন্দিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত দিদির দূত ও দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে যোগ দান করেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি শাওনি সিংহ রায়।ওই দিন এলাকার বাসিন্দারা রাস্তাঘাট, নিকাশি বা অন্য সার্বিক সমস্যার কথা বিধায়ক ও জেলা সভাপতিকে বলতে শোনা যায়নি।
শুধু মাত্র আবাস যোজনার ঘরের দুর্নীতির প্রসঙ্গে একগুচ্ছ অভিযোগ করেছে। তৃণমূলের নেতৃত্ব বারংবার রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী, কন্যাশ্রী–সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কি না জানার চেষ্টা করলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে একটি কথায় ঘুরপাক খেতে শোনা গিয়েছে। সেটা হল, আবাস যোজনার দুর্নীতির কথা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই আবার বিধায়ক ও দলের জেলা সভাপতির হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে মাটির বাড়ির অবস্থা দেখাতেও ছাড়েননি। কোনও ক্রমে বুঝিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেই বাঁচেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
যদিও দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহ রায় বলেন, “আবাস যোজনার ঘরের নামের তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষ অস্তোষ হয়েছেন যেমন, অন্য ভাবে এক মহিলার তিন ছেলেই পৃথক ভাবে বাড়ি পেয়েছেন তাঁর জন্যও বাড়ি চাই, সেই ঘটনাও অনেক আছে।” তারপরেই শাওনি বলেন, “যে সমস্ত মানুষ সত্যিই বাড়ি পাওয়ার যোগ্য, অথচ ঘর পাননি, তাঁরা যাতে ঘর পান সেই বিষয়ে আমরা সাংগঠনিক ভাবে জেলা শাসকের সঙ্গে বৈঠক করেছি।”
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দিদির দূতদের যে ভাবে আবাস যোজনার ঘর নিয়ে নালিশ শুনতে হচ্ছে তাতে আগামী পঞ্চায়েত ভোট যে শাসকের বিরুদ্ধে যাবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। শাসক দলের এক নেতার কথায়, “দলের ব্লক থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত সকলেই আবাস যোজনা নিয়ে চিন্তায় আছেন। কিন্তু সেটা প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলছে না।” শাওনি বলেন, “ও সব ভুল খবর। সাধারণ মানুষ রাজ্য সরকারের কত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। সেগুলি কী ভুলে যাবেন! সেটা আবার হয়!”
ওই অঞ্চলের তৃণমূলের নেতৃত্বদের সঙ্গে দুপুরে খিচুড়ি, আলুর দম ও শেষপাতে অম্বল তাড়িতে তাড়িয়ে খেতে দেখা গিয়েছে শাওনি ও জীবনকৃষ্ণকে। বাসিন্দারা ঘর ছাড়াও এলাকায় পানীয় জলের আকালের কথাও বলেন। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ বলেন, “জলের কিছুটা অভাব আছে। কারণ এ বার অনাবৃষ্টির কারণে মাটির নীচের জলস্তর নেমে গিয়েছে। সেটা সমস্যা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy