Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Unnatural death

কালীগঞ্জে যুবক খুনে নেই রাজনীতি, খুন দুষ্কৃতীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে, দাবি পুলিশের, গ্রেফতার এক

শনিবার রাতে নদিয়ার কালীগঞ্জে এক যুবককে প্রথমে গুলি করে, তার পর কুপিয়ে খুন করার ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের দাবি, দুই দুষ্কৃতী দলের মধ্যে পুরনো ঝামেলার জেরেই খুন।

নদিয়ায় যুবক খুনে চাঞ্চল্য।

নদিয়ায় যুবক খুনে চাঞ্চল্য। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কালীগঞ্জ শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৪ ১৪:২১
Share: Save:

নদিয়ার কালীগঞ্জে যুবককে গুলি করে, কুপিয়ে খুনের ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম নাসিম শেখ। রবিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, দুষ্কৃতীদের অভ্যন্তরীণ বিবাদের জেরেই এই খুন। যদিও বিজেপি তা মানতে চায়নি। পদ্মশিবিরের দাবি, মৃত যুবক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বলেই তাঁকে খুন হতে হল।

শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে জাতীয় সড়কের ধারে ক্যারম খেলছিলেন বছর ৩৫-এর হাফিজুল শেখ। অভিযোগ, সেই সময় কয়েক জন দুষ্কৃতী এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। হাফিজুল ছুটে পালাতে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি খেয়ে হাফিজুল পড়ে যান মাটিতে। এর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি দাবি করে, মৃত হাফিজুল তাদের কর্মী। ফলে ঘটনায় লাগে রাজনীতির রং। যদিও খুনের পিছনে রাজনীতি থাকার কথা মানতে চায়নি পুলিশ। জেলার এক শীর্ষ পুলিশকর্তার দাবি, নদিয়ার কালিগঞ্জ থানার চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত হাফিজুল ও পলাতক কাশেম শেখ দীর্ঘ দিন ধরে সমাজবিরোধী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। একাধিক মামলায় দু’জনের নামও রয়েছে। কাশেম ও হাফিজুল একই দুষ্কৃতী দলের সদস্য বলেও পুলিশ দাবি করেছে। মাদক ও অস্ত্র আইনে দীর্ঘ দিন জেলবন্দি থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন হাফিজুল।

পুলিশ সূত্রে খবর, যৌথ ভাবে কেনা একটি জমি বিক্রি নিয়ে বিবাদ শুরু হয় কাশেম এবং হাফিজুলের। জমি বিক্রির মুনাফা বণ্টন নিয়ে সেই বিবাদ চরমে পৌঁছোয়। কাশেম একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আপাতত পলাতক। তাই, স্থানীয় দুষ্কৃতী এবং দুই ভাড়াটে দুষ্কৃতীকে ‘ভাড়া’ করে হাফিজুলকে খুনের ছক কষেন কাশেম। সেই পরিকল্পনা মতো, রবিবার রাত ১০টা নাগাদ পাড়ার চায়ের দোকানে ১০ দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে গুলি করে হাফিজুলকে। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। দুষ্কৃতীরা হাফিজুলের মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে কোপায় বলেও অভিযোগ।

দীর্ঘ দিন সিপিএম করলেও লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন হাফিজুল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। সেই সূত্রেই বিজেপি খুনের অভিযোগ করেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির জেলা সংগঠনের সভাপতির দাবি, বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় খুন হতে হল হাফিজুলকে। যদিও এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগ পেতে অনেক দেরি হয়েছে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই দুষ্কৃতী দলের পুরনো শত্রুতার জেরেই খুন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে। খুনের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগসূত্র নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder police arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE