Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Death

গ্লাসভর্তি গরম দুধ খেলেন ‘মৃত’! হাসপাতালে নিয়ে যেতে ‘দ্বিতীয় বার’ মৃত্যু! মুর্শিদাবাদে শোরগোল

মুর্শিদাবাদের সুতি ব্লকের জগদা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তেনাউড়ি গ্রামে রাস্তার পাশে একটি পাকা নিকাশি নালা নির্মাণের কাজ চলছিল। কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ৪৮ বছরের অর্জুন সিংহ।

death

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
সুতি শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:২৫
Share: Save:

রাস্তার পাশে জলনিকাশির জন্য নির্মিত হচ্ছিল নালা। তার জন্য কংক্রিটের ঢালাই ভাঙার জন্য ব্যবহার হচ্ছিল বৈদ্যুতিন ড্রিল মেশিন। মেশিন চালাতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ অবৈধ ভাবে পাশের বিদ্যুৎ খুঁটি থেকে নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বৃষ্টির জমা জলে কাজ করতে গিয়ে তাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন এক শ্রমিক। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর দেহ বাড়ি নিয়ে যায় মৃতের পরিবার। কিন্তু পরিজনদের দাবি, হঠাৎ তাঁরা লক্ষ্য করেন দেহ নড়াচড়া করছে। চমকে ওঠেন সবাই। তা হলে কি চিকিৎসকেরা কোনও ভুল করলেন? দেহ খতিয়ে দেখা শুরু হয়।

পরিবারের দাবি, তাঁরা দেখেন সত্যিই বেঁচে আছেন অর্জুন সিংহ নামে ওই শ্রমিক। অর্জুনের স্ত্রী দাবি করেন, তিনি গরম দুধ খেতে দিয়েছিলেন। স্বামী সেটা খেয়েওছেন। এর পর অর্জুনকে পুনরায় মঈষাইল সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকেরা অর্জুনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার। অভিযোগ, ভাল করে পরীক্ষানিরীক্ষা না করে ওই শ্রমিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃত শ্রমিকের স্ত্রীর দাবি, ‘‘ভাল করে পরীক্ষা না করে হাসপাতাল ওকে মৃত বলে ঘোষণা করেছে।’’ তিনি জানান, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও আনুমানিক সময় জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতের কন্যা নিসা সিংহ বলেন, ‘‘বাবাকে জলের মধ্যে বিদ্যুতের তার নিয়ে কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল। শক্ লাগার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে চিকিৎসা হয়নি। বাড়িতে এসে আমরা দুধ খাওয়ানোর পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বাবার মৃত্যু হয়েছে।’’ ঠিকাদারি সংস্থার তরফে আলতাফ মণ্ডলের অবশ্য দাবি, ‘‘অর্জুন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।’’ এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy