Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Berhampore

পুর-স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে ক্ষোভ বাসিন্দাদের

করোনার ছায়া পড়েছে গাঁয়ের গভীরেও। নিভু নিভু গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সামনেও ভয়ার্ত মানুষের আঁকাবাঁকা লাইন। কেমন আছে সেই সব অচেনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি, খোঁজ নিল আনন্দবাজাররবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রোড, সৈদাবাদ, কান্তনগর এবং কাশিমবাজার পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এই মিশনের অন্তর্গত বহরমপুর পুরসভার চারটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

বিদ্যুৎ মৈত্র
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২০ ০৩:০৮
Share: Save:

২০১৩ সালে শহরের গরিব মানুষদের বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে কেন্দ্র সরকার জাতীয় স্বাস্থ্যমিশন চালু করে। যার অন্তর্ভুক্ত জাতীয় নগর স্বাস্থ্য মিশন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রোড, সৈদাবাদ, কান্তনগর এবং কাশিমবাজার পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এই মিশনের অন্তর্গত বহরমপুর পুরসভার চারটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র।

অন্য দুটি কেন্দ্রে চিকিৎসকের অভাব থাকলেও ঘড়ির কাঁটা ধরে চিকিৎসক আসেন কান্তনগর এবং কাশিমবাজার পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু বহরমপুর পুরসভার ১, ২, ৯, ১৬, ২২ এবং ৬, ৭, ৮, ১০-১২ এলাকার গরিব মানুষজন চিকিৎসা পরিষেবা পেলেও নিয়মিত ওষুধ পান না বলেই অভিযোগ তাঁদের। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রোড বাদ দিয়ে বাকি তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই ল্যাবোরেটরি আছে। যদিও সেগুলির মান নিয়ে হাজার প্রশ্ন এলাকাবাসীর। শীতাতপ ব্যবস্থা তো দূর, কান্তনগরের ল্যাবোরেটরি দেখলে মনে হবে যেন গৃহস্থের রান্নাঘর। এখানেই অযত্নে পড়ে আছে ডেঙ্গু নির্ণয়ের যন্ত্র।

কাশিমবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থাও তাই। এমনিতেই গলির অন্ধকারে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র আর তার সঙ্গে নাম কে ওয়াস্তে ল্যাবোরেটরি। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘরগুলোর একে অপরের দূরত্ব খুব কম হওয়ায় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপস্থিত রোগী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাও সম্ভব হয় না। অথচ তৈরি হয়েও ঝাঁপ বন্ধ কান্তনগর ও কাশিমবাজার পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবনের। নোডাল অফিসার পার্থপ্রতিম রায় বলছেন, “লকডাউনের ফলে পরবর্তী কাজ শুরু করা যায়নি। তাই ভাড়া বাড়িতেই চলছে কাশিমবাজার ও কান্তনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র দু’টি।” যদিও পুরসভা সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে নির্মীয়মাণ এই ভবন দু’টি। বকেয়া টাকার জন্য ঠিকাদাররা কাজ করছেন না বলে পুরসভা সূত্রে জানা যায়। যদিও পার্থবাবু বলেন, “আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। এ বিষয়ে না জেনে কিছু বলব না।” নিয়ম মতো, প্রত্যেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক সহ অন্য কর্মী কত জন, সেই তথ্য সম্বলিত একটি বোর্ড থাকা উচিত। চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘুরেও তা খুঁজে পাওয়া যায় নি। চার জন ফার্মাসিস্ট থাকার কথা থাকলেও শুধু কাশিমবাজারে আছেন এক জন।

অন্য বিষয়গুলি:

Berhampore Health Centres
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy