Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

‘জয় গৌর’ বলো, বলছে নবদ্বীপ পুরসভাই

‘হাই’, ‘হ্যালো’ বা ‘গুড মর্নিং’ নয়, বলুন ‘জয় গৌর’। দোলের তিন দিন পাতে পড়ুক নিরামিষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৭ ০০:২৫
Share: Save:

‘হাই’, ‘হ্যালো’ বা ‘গুড মর্নিং’ নয়, বলুন ‘জয় গৌর’। দোলের তিন দিন পাতে পড়ুক নিরামিষ।

কোনও মঠ বা আশ্রম নয়, এ হেন চমকপ্রদ আবেদন নবদ্বীপ পুরসভার। তাদের যুক্তি, বৃন্দাবনে একে অপরের সঙ্গে দেখা হলে ‘রাধে রাধে’ বলেন, পুরীতে ‘জয় জগন্নাথ’। চৈতন্যভূমি নবদ্বীপেও যদি এমনটা হয়, ক্ষতি কী?

প্রত্যাশিত ভাবেই, এমন আর্জিতে খুশি গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজ, সনাতন সন্ত সমাজের মতো সংগঠন। নবদ্বীপে মূলত চৈতন্যের জন্মদিন ‘গৌরপূর্ণিমা’ হিসেবেই পালিত হয় দোল। নবদ্বীপ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নিরঞ্জন সাহা বলেন, “বহু তীর্থস্থানেই উৎসবে নিরামিষ চলে। ব্যবসায়ী সমিতির তরফে সব বাজারে মাইকে অনুরোধ জানানো হবে।’’

ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি, খাওয়া-দাওয়ার উপরে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সবচেয়ে সরব। সম্প্রতি গোমাংস বিতর্কের সময়ে তাঁর বক্তব্য ছিল, কে কী খাবেন আর কে কী পরবেন, তা পুরোপুরি তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এখন তাঁর দলেরই নেতারাই ধর্মীয় উৎসবে সম্বোধন বা খাওয়া নিয়ে ফতোয়া জারি করছেন? নবদ্বীপের পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহার দাবি, ‘‘ফতোয়া নয়। চৈতন্যদেব যে শহরে জন্মেছেন, সেই শহরের মানুষের কাছে বিনীত আর্জি।” তৃণমূল বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা বলেন, ‘‘দেশ-বিদেশের বহু মানুষ আসেন। তাঁরা তো নিরামিষই খান। আমরাই বা পারব না কেন?’’

শহরের অনেকেই সহমত। তবে একটা অংশের বক্তব্য, এটা পারা-না পারার প্রশ্ন নয়। ভিন ধর্মের মানুষেরা এই ‘আর্জি’কে কী ভাবে নেবেন, নেতাদের তা ভাবার দায় আছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Nabadwip municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE