ছবি: সংগৃহীত
নভেম্বরে বহরমপুরে এসে তাঁর প্রশাসনিক বৈঠকে একাধিক প্রকল্পের আশ্বাস দিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই আশ্বাসের ছায়া কি পড়বে সোমবারের রাজ্য-বাজেটে? প্রশ্নটা ঘুরছে। জেলার মানুষের পাশাপাশি সে দিকেই তাকিয়ে আছেন শাসক দলের নেতা-কর্মীরাও। সেই প্রতিশ্রুতির কিছুটা বাস্তবায়িত হলে, তা আঁকড়ে পুর নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার ভরসায় বুক বাঁধছেন তাঁরা।
দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় বাজেটে মুর্শিদাবাদের হতাশা ছাড়া কিছুই জোটেনি। সোমবারের বাজেটো সেই তালিকায় নয়া সংযোজন হলে তৃণমূলের যে মুখ পুড়বে, মেনে নিয়েছেন দলের জেলা নেতারা। গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে অধিকাংশ পুরসভাতেই পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ফলে রাজ্য বাজেট হাতের মুঠো খুলে জেলার মানুষ কিছু না পেলে যে দলের অস্বস্তি বাড়াবে তা বিলক্ষণ জানেন দলীয় নেতারা।
নতুন শিক্ষাবর্ষে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন পাঠন শুরু হওয়ার কথা। জেলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণে জোর দেওয়া, মুর্শিদাবাদের পর্যটনকে তুলে ধরা, রেজিনগর শিল্পতালুকের পরিকাঠামো তৈরি, জেলার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন— আশ্বাসের সেই লম্বা ফিরিস্তি আংশিক না মিললে পায়ের নীচে মাটি সরে যাওয়ার আশঙ্কা যে রয়েছে তা মেনে নিয়েছেন দলের এক তাবড় জেলা নেতা। বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস যখন দিয়ে গিয়েছেন তখন সত্যিই তা ফিরিয়ে দেবেন। তবে যতক্ষণ না বাজেট ঘোষণা হচ্ছে ভরসা পাচ্ছি না।’’
কেন্দ্রীয় বাজেটের আগেই জেলায় থমকে থাকা আজিমগঞ্জ রেলসেতু, চৌরিগাছা-সাঁইথিয়া ভায়া কান্দি রেলপথ, কৃষ্ণনগর-বহরমপুর ভায়া করিমপুর রেলপথের জন্য বরাদ্দের দাবি উঠেছিল। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ভর্তুকি বাড়ানোর দাবি উঠেছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাজেটে সে সবের কিছুই মেলেনি।
জেলার ব্যবসায়ীরা বলছেন— ‘কেন্দ্রীয় বাজেটে তো আমাদের জন্য কিছু জোটেনি। মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘জিএসটি চালুর পরে আমরা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির টোল তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েও কাজ হয়নি। ফলে এখনও আমাদের অতিরিক্ত কর দিতে হচ্ছে। আমরা চাই রাজ্য বাজেটে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিক। ক্ষুদ্র কুটির শিল্পে উৎসাহ দিতে ভর্তুকি বাড়িয়ে দিক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy