কংগ্রেসকর্মীদের সঙ্গে বচসা পুলিশের। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
দুর্নীতি, স্বজনপোষণের বিরোধিতা এবং একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদ অভিযানের ডাক দিয়েছিল জেলা কংগ্রেস। কিন্তু জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুপস্থিত থাকায় সভাধিপতির অফিসের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদার, প্রাক্তন বিধায়ক ফিরোজা বেগম, জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি তৌহিদুর রহমান সুমন-সহ কংগ্রেসের জেলা পরিষদ সদস্যরা। ঘণ্টাখানেক অবস্থান শেষে তাঁরা কাউকে স্মারকলিপি না দিয়ে বেরিয়ে আসেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা বলেন, ‘‘বুধবার থেকে বিশেষ কাজে জেলার বাইরে রয়েছি। সে কথা ওঁদের বলেছি।’’
এ দিন জেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ সভাতে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘‘আমরা ডিসেম্বরেই প্রথমে চিঠি ও পরে মুখোমুখিু কথা বলে জানিয়েছিলাম, সভাধিপতির কাছে দলের তরফে একটা দাবিপত্র দেওয়া হবে। তার পরেও বুধবার সভাধিপতি জানান তিনি থাকবেন না। কিন্তু তাঁর বদলে অন্য কোনও আধিকারিককেও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। কংগ্রেস কর্মীর যখন দেখেন পুলিশ ছাড়া কেউ নেই, তখন তাঁরা দাবিপত্র দেননি। এই হচ্ছে গণতন্ত্রে বিরোধীদের সম্মান দেওয়ার নমুনা। আমরা ভাবছি এদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেব কি না।’’ অধীর বলেন, ‘‘সিদ্দিকা বেগমকে মুর্শিদাবাদের প্রথম মহিলা সভাধিপতি করেছিলাম। প্রণব মুখোপাধ্যায় তখন ভারতের মন্ত্রিত্বের দু’নম্বর স্থানে। জেলায় এলে সিদ্দিকাকে প্রণববাবু বলতেন ‘এক বার তোমার কাছে দেখা করতে চাই, কিছু আলোচনা করতে চাই। তোমার কি সময় হবে?’ এই ছিল আমাদের আমলে সভাধিপতি পদের মর্যাদা। আর আজকে তিনটে লোক মিলে জেলা পরিষদ চালাচ্ছে। এ জেলা পরিষদকে আজ লুটেরাদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।’’
যা শুনে সভাধিপতি রুবিয়া বলেন, ‘‘আধিকারিকদের দিতে বলেছিলাম। কিন্তু ওঁরা আমাকে ছাড়া কাউকে স্মারকলিপি দেবেন না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয় হয়েছে। তাই আবার ভোটের আগে কর্মীদের মনোবল বাড়াতে ওরা এই ধরনের কর্মসূচি করছে।’’
এ দিন সন্ধ্যায় অধীর মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিতে ১২টি দাবি রয়েছে। এ দিন, বাম আমলে রাজ্যে প্রথম মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ কংগ্রেস দখল করেছিল সে কথা অধীর মনে করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘বাম আমলে হাজার চেষ্টা করেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামেদের কাছ থেকে একটা জেলা পরিষদ কাড়তে পারেননি। অথচ ২০০৩ সালে আমরা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ দখল করে করতে পেরেছিলাম। কারণ সে দিন ভোট করতে পেরেছিলাম।’’ অধীর পুলিশ সম্পর্কে কুকথা বলেছেন এ দিন।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘প্রত্যেক মানুষের কাজ থাকে, তেমনই সভাধিপতিরও কাজ রয়েছে। যে ১৪ টি দাবি নিয়ে গিয়েছিল তার ১১টিই জেলা পরিষদের এক্তিয়ারে পড়ে না। সেগুলি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার। সাংসদ থাকার সময়ে অধীরবাবু বাংলার আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে কোনও কথা বলেননি, বিজেপিকে তুষ্ট করেছেন।’’ অপূর্ব আরও বলেন, ‘‘এই জেলার পুলিশ রক্তপাতহীন নির্বাচন করেছে। অধীরবাবুরা নির্বাচনে সন্ত্রাস করতে পারেননি। তাই পুলিশকে গালিগালাজ করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy