বাজেটে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যবসায় জিএসটি ছাড়ের দাবি তুলল ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প। রাহুল গান্ধী যখন নিয়মিত মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জিএসটি-নোট বাতিলের মাধ্যমে ছোট শিল্প ধ্বংসের অভিযোগ তুলছেন, তখন এই শিল্পের দাবি, বাজেটে তাদের জন্য সহায়ক নীতি আনুক কেন্দ্র। বাড়ানো হোক ঋণের সুযোগ। ব্যবসার ছাড়পত্র ও কর জমা ব্যবস্থার সরলীকরণ করা হোক।
ক্ষুদ্র সংস্থাগুলিকে সাহায্যের জন্য তৈরি ভারতীয় যুবা শক্তি ট্রাস্টের প্রধান লক্ষ্মী ভেঙ্কটরামন ভেঙ্কটেশন বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের মধ্যে ক্ষুদ্র সংস্থা ৯৮.৫%। তাদের ব্যবসার ছাড়পত্র, লাইসেন্সের জন্য এক জানলা ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। এখন পণ্যের ক্ষেত্রে বছরে ৪০ লক্ষ টাকা এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে ২০ লক্ষ টাকার ব্যবসা পর্যন্ত জিএসটি ছাড় রয়েছে। এই ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ১ কোটি টাকা করা উচিত। ক্ষুদ্র সংস্থাগুলিকে এখন বছরে ১৩টি জিএসটি রিটার্ন জমা করতে হয়। এ তো বিরাট বোঝা!’’
কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক সূত্রের খবর, তফসিলি জাতি-জনজাতি উদ্যোগপতিদের সাহায্যের জন্য তৈরি প্রকল্পের মতো বেশ কিছু ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রকের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। আজ কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে, নোট বাতিল, জিএসটি, লকডাউনের ধাক্কায় বহু ছোট শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সরকারি সমীক্ষা বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২১-এর মধ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মীর সংখ্যা ১.৩ কোটি কমেছে। ২৪ লক্ষ সংস্থা বন্ধ হয়েছে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, ‘‘ওই সময়কালে ছোট-মাঝারি শিল্পের কারখানায় কর্মী সংখ্যা ৮১ লক্ষ কমেছে।’’
লক্ষ্মী বেঙ্কটরামনের মতে, ‘‘ক্ষুদ্র সংস্থাগুলির সবথেকে চিন্তা ঠিক সময়ে ঋণ। যা ব্যাঙ্ক থেকে পেতে ২-৩ মাস লেগে যায়। মুদ্রা প্রকল্পে কেন্দ্র তাদের গড়ে ৩৭,০০০ টাকা ঋণ দিচ্ছে। বাজেটে তা বাড়ানো হোক। সুদে ৪% পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হোক। এতে বোঝা কমবে। আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে ভূমিকা নিতে পারবে এই শিল্প।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)