আমলাপুকুর ইয়ং বয়েজ ক্লাবের মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র।
মন্দিরের শহর কালনায় সরস্বতী পুজোর বহু মণ্ডপের থিম এ বার মন্দির। রাজ্য, দেশ তো বটেই বিদেশের কিছু মন্দিরের আদলেও কাজ করছেন শিল্পীরা।
কালনা পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হিমঘরের মাঠে দিন-রাত কাজ করছেন বেশ কিছু শিল্পী। ত্রিধারা ক্লাবের মণ্ডপ সাজাচ্ছেন তাঁরা। উদ্যোক্তারা জানান, তাঁদের মণ্ডপের থিম পুরীর জগন্নাথ মন্দির। কিছুটা দুরেই আমলাপুকুর ইয়ং বয়েজ ক্লাবের মণ্ডপ। তাঁদের থিম এক টুকরো রাজস্থান। শিল্পী সুমন পাল জানান, কাপড়, চামড়া, বোর্ড, ফাইবার দিয়ে তৈরি মণ্ডপটিতে পা দিলেই রাজস্থানি ঘরানার পুতুল, বাদ্যযন্ত্রের দেখা মিলবে। ভাদুড়িপাড়া জুবিলি স্টার ক্লাবের থিমও রামেশ্বর মন্দির। থার্মোকল, ফাইবার দিয়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে মণ্ডপটি গড়ছেন নদিয়ার বশির শেখ-সহ ১৫ জনের একটি দল। বশির বলেন, ‘‘১৭ বছর বয়স থেকে মণ্ডপের কাজ করছি। আশা করছি, দর্শকের ভাল লাগবে।’’ শাসপুর শীতলা সঙ্ঘের ৭০ ফুট উঁচু মণ্ডপেও রয়েছে রাজস্থানের ছোঁয়া।
চারাবাগান সবুজ সমিতির থিম চায়নার বুদ্ধ মন্দির। শিল্পী পরেশ ভৌমিক জানান, ৭০ ফুটের মণ্ডপে থাকবে বিভিন্ন মডেল। বাইরে থাকবে বুদ্ধের মূর্তি। রয়াল ক্লাবের থিম তিব্বতের বৌদ্ধ মন্দির। এটির উচ্চতাও ৬৫ ফুট। প্লাস্টিকের বোতল, চামচ, থার্মোকল, শোলার বল, প্লাইউড দিয়ে মণ্ডপটি তৈরি হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, হাজার চারেক বোতল এবং ছ’হাজার শোলার বল দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। থাকবে বিভিন্ন আকারের মূর্তি। বৃন্দাবনের প্রেম মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে দীপালি সঙ্ঘের ৫২ ফুটের মণ্ডপ। সাদা রঙের মণ্ডপে বিভিন্ন মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের ছবি। শহরবাসীর দাবি, অনেক মণ্ডপ দেখেই আসল, নকলের ফারাক বোঝা য়াচ্ছে না। মনিমালা কর্মকার নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘সব জায়গায় তো যাওয়া সম্ভব নয়। মণ্ডপ দেখেই সাধ মিটবে কিছুটা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy