মহা কুম্ভ মেলায় চলছে উদ্ধারকাজ। —ফাইল চিত্র।
মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে জামুড়িয়ার বাসিন্দা বিনোদ রুইদাসের (৪২)। তাঁর বাড়ি জামুড়িয়ার কেন্দার মুচিপাড়ায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যালক ও তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে বিনোদ কুম্ভে গিয়েছিলেন। সেখানে মঙ্গলবার রাতে দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার দেহ নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন শ্যালক বিষ্ণু রুইদাস।
বিষ্ণু এ দিন ফোনে জানান, সোমবার তাঁরা কুলটি থেকে ধানবাদ হয়ে প্রয়াগরাজ রওনা দেন। মঙ্গলবার সেখানে পৌঁছন। স্টেশনে অনেকটা সময় কাটানোর পরে, রাতে হেঁটে এগোতে শুরু করেন। বেশ কিছুটা হাঁটার পরে সেক্টর ২১ গেটের কাছে পৌঁছন। বিষ্ণু বলেন, ‘‘আমরা পরস্পরের হাত ধরেছিলাম। হঠাৎ ভয়ঙ্কর ঠেলাঠেলি শুরু হয়। জামাইবাবু আমাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন।
তার পরে তাঁকে আর দেখতে
পাইনি।’’ তিনি জানান, বুধবার ভোর থেকে তাঁরা বিনোদের খোঁজ শুরু করেন। মাইকেও ঘোষণা করানো হয়। দিনভর খুঁজেও হদিস পাননি।
বিষ্ণুর কথায়, ‘‘বুধবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এক পুলিশ আধিকারিক একটি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।’’ তিনি জানান, সেই রাতে স্টেশনের কাছে গাছতলায় কাটানোর পরে, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় হাসপাতালে যান। সেখান থেকে তাঁদের একটি মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখেন, মর্গের কাছে বোর্ডে মৃতদের ছবি দেওয়া রয়েছে। সেখানেই বিনোদের ছবি দেখতে পান তাঁরা। পরে প্রয়াগরাজ রিজ়ার্ভ পুলিশ লাইন থেকে দেহ বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
মহকুমাশাসক (আসানসোল) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মহাকুম্ভে মৃত্যু হয়েছে জামুড়িয়ার এক বাসিন্দার। তাঁর দেহ আনা হচ্ছে।’’ কেন্দা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দুঃখজনক এই খবর আমরা পেয়েছি। বিনোদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বাড়ির লোকজনকে এখনও বিষয়টি জানানো হয়নি। গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে।’’ স্থানীয় সূত্রের দাবি, জামুড়িয়ার বীজপুরের এক ব্যক্তি কুম্ভে গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে পরিবার জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy