প্রতীকী ছবি
খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হলেন নাকাশিপাড়ার তেঘরি রায়পাড়ার শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে ৪০ জনেরও বেশি জেলার চারটি হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নারায়ণ পুজোর প্রসাদ থেকেই এই বিষক্রিয়া বলে স্বাস্থ্য দফতরের অনুমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় তেঘরি রায়পাড়ায় শৈলেন্দ্র সিংহরায়ের বাড়িতে শুক্রবার নারায়ণ পুজো ছিল। সেখানে সিন্নি প্রসাদ দেওয়া হয়। ওই প্রসাদ খাওয়ার পরে গভীর রাত থেকে গ্রামের লোকজন অসুস্থ হতে শুরু করেন। শৈলেন্দ্রবাবুর বাড়ির লোকজনও অসুস্থ হন। পেট ব্যথা, বমি, পেটখারাপ শুরু হয়ে যায় তাঁদের। অনেকের জ্বরও এসে যায়।
শনিবার ভোরে গ্রামের লোকজন স্বাস্থ্য দফতর এবং ব্লক অফিসে খবর দেন। খবর পেয়ে গ্রামে যান মেডিক্যাল টিমের সদস্যেরা। তাঁরাই অসুস্থদের প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। বেশি অসুস্থদের বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতাল, চাপড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, তেহট্ট মহকুমা হাসপাতাল ও শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সব থেকে বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে— ৩৩ জন। জেলা হাসপাতালে ৬ জন, এবং চাপড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৫ জন ভর্তি রয়েছেন। তেঘরি রায়পাড়ার বাসিন্দা প্রকাশ বর্মণের মা মালতি বর্মণ আপাতত বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। প্রকাশের দাবি, তাঁদের পাড়ায় ৭০টি পরিবারের বাস। পাড়ার বেশির ভাগ লোক সিন্নি প্রসাদ খেয়েছিলেন। তাঁদের অধিকাংশ অসুস্থ হয়েছেন। তবে প্রসাদ খেয়েও অসুস্থ হননি, এমন কয়েক জনও আছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বাড়ির ৭-৮ জন প্রসাদ খেয়েছিলেন। দু’জন অসুস্থ হয়েছেন। অন্যেরা সুস্থই আছেন। ফলে প্রসাদ খেয়ে এই কাণ্ড না কি অন্য কোনও কারণ আছে, তা আমরা বুঝতে পারছি না।’’
সকালেই তেঘরি গ্রামে যান নাকাশিপাড়ার বিডিও সমর দত্ত ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সমীর আচার্য। পরে নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খান গ্রাম যান, বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়েও অসুস্থদের খোঁজখবর নেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলেন, “প্রাথমিক ভাবে আমাদের মনে হয়েছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলেই এই ঘটনা। এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি আয়ত্তের মধ্যে।”
বিডিও বলেন, “একশোরও বেশি মানুষ অসুস্থ হয়েছিলেন।” কী থেকে এই বিষক্রিয়া? বিডিও বলেন, ‘‘যাঁর বাড়িতে নারায়ণ পুজো হয়েছিলস সেই শৈলেন্দ্র সিংহরায়ের বাড়ির লোকজনও অসুস্থ। এ দিন আমরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে খাদ্যের নমুনা পাইনি। চিকিৎসকেরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।’’ জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) শুভাশিস চন্দ বলেন, “এই বিষক্রিয়ার প্রকৃত কারণ জানতে আমরা প্রসাদের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy