‘কী রে মেলায় যাবি?’ পাড়ার কাকুর এমন প্রস্তাবে সে ‘না’ বলবে কেন! এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীটি। কাকু মেলা দেখাতে নিয়ে যাবে, আর কী চাই? বাড়িতে কাউকে না বলেই যুবকের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে সে। কিন্তু মেলা দেখানোর নাম করে মেয়েটিকে রাস্তায় ফেলে পালান ‘কাকু’। সম্পর্কে ভাইঝিকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। শনিবার থেকে শিশুকে যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে শোরগোল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকায়। ইতিমধ্যে যুবকককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
‘নির্যাতিত’ নাবালিতার পরিবারের দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ‘নিখোঁজ’ ছিল তাদের মেয়ে। শুরু হয় নাবালিকার খোঁজ। প্রায় ৪ ঘণ্টা পরে গ্রামের একটি নির্জন রাস্তায় মেয়েটিকে পাওয়া যায়। ‘কোথায় ছিলি এত ক্ষণ?’ বড়দের বকাবকি, প্রশ্নে কেঁদে ফেলে মেয়েটি। সে জানায়, মেলা দেখানোর নাম করে তাকে একটি অন্ধকার জায়গায় নিয়ে যান ‘কাকু’।
নাবালিকার মুখে সব কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান পরিবারের সদস্য থেকে প্রতিবেশীরা। মেয়েটির পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘‘ও কাঁদতে কাঁদতে সব বলেছে। ওকে যৌন হেনস্থা করেছে। বাচ্চাটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।’’ প্রথমে গ্রামের মোড়লের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। কিন্তু তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ। ‘নির্যাতিতা’র পরিবারের দাবি, ঘটনার কথা জানাজানি হতে অভিযুক্ত তাদের হাজার পাঁচেক টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা টাকা নেয়নি।
আরও পড়ুন:
গ্রামের সালিশি সভার ভরসায় না থেকে শনিবার রাতে বড়ঞা থানায় অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাজিদ ইকবাল বলেন, ‘‘নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনের মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তে নতুন তথ্য মিললে সেই অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’ রবিবার অভিযুক্ত ‘কাকু’কে কান্দি আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁকে হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ।