—প্রতীকী চিত্র।
লকডাউন ও আমপান পরবর্তী পরিস্থিতির মধ্যেই কৃষ্ণনগরে বিভিন্ন কমিটিতে রদবদল করল তৃণমূল। তবে তাতে দলের অন্দরে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে একাধিক বিধায়ক ও নেতা অভিযোগ জানিয়েছেন দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। দলের কৃষ্ণনগরের সাংগঠনিক সভাপতি মহুয়া মৈত্র অবশ্য বলেন, ‘‘দলের অনুমোদন নিয়েই রদবদল করেছি। নতুন ও পুরনোদের ভারসাম্য রেখে কাজ করতেই এই পরিবর্তন।’’
তৃণমূল সূত্রে খবর, শুক্রবার কৃষ্ণনগর জেলা কমিটিতে এই রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, একাধিক ব্লক ও বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় কমিটিতেও রদবদল করেছেন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মহুয়া। শনিবার এই সিদ্ধান্ত জানার পরই দলের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন স্থানীয় বিধায়ক ও নেতারা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দলের একাধিকবারের বিধায়ক ও পুরনো নেতারাও। দলীয় সূত্রে খবর, করোনা ও আমপান পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই রদবদলে সাংগঠনিক কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা জানিয়ে তাঁরাই সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছে। মহুয়া অবশ্য বলেন, ‘‘নতুন কমিটিতে প্রত্যেকটি ব্লকের প্রতিনিধি রেখেছি। কমিটি কেন শুধু কৃষ্ণনগর শহরে আটকে থাকবে? মহিলা ও নতুন মুখ এনেছি। কেউ অসন্তুষ্ট হতেই পারেন। যাঁরা দায়িত্ব পেয়েছেন তাঁরা উৎসাহ হবেন।’’
নাকাশিপাড়া, চাপড়া, তেহট্টে ব্লক স্তরে কমিটি বদল হয়েছে। জেলা কমিটিতেও পুরনো অনেকের বদলে নতুন মুখ আনা হয়েছে। কমিটি বদলের এই চিঠি পাওয়ার পরই রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানতে চান, তাঁদের অনুমোদন আছে কি না। প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে কৃষ্ণনগরে সাংগঠনিক স্তরে বেশ কিছু রদবদল নিয়ে একই রকম সমস্যা হয়েছিল। শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তা আর এগোয়নি। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলব।’’
তৃণমূলের নদিয়া জেলার প্রাক্তন সভাপতি তথা তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘কমিটি বদলের চিঠি পেয়েছি। তার কারণ কিছু জানি না। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy