—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কৃষ্ণনগর-নবদ্বীপ ধাম রেল লাইনের কাজ শেষ হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ অনেকটাই সহজ হবে। বিশেষ করে শিয়ালদহ ও বনগাঁ থেকে রানাঘাট, কৃষ্ণনগর হয়ে ভাগীরথী নদী পার হয়ে নবদ্বীপ ধাম স্টেশন থেকে সরাসরি উত্তরবঙ্গে পৌঁছে যাওয়া যাবে খুব সহজেই। আর সেই কথা মাথায় রেখেই এক্সপ্রেস ট্রেন চলার মতো করে রেল লাইন তৈরি করতে চাইছেন রেল কর্তৃপক্ষ। যার জন্য জমি কেনা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র রেল লাইন ও অন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করতে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, জানাচ্ছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
রেল লাইন তৈরির কাজে স্থানীয় স্তরে নানা ভাবে চাপ আসছিল। প্রতিটি নির্বাচনের আগে এই অসমাপ্ত রেল লাইন নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে যেত। শেষ পর্যন্ত রেলের জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় অর্ধেক শেষ হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি তেওরখালি, ব্রহ্মনগর, পারমেদিয়া ও গৎখালি মৌজার সমীক্ষার কাজ দ্রুত শুরু করে দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “প্রথম দিকে রেল আটটি মৌজার জমি এক সঙ্গে কিনতে চাইছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। কারণ এত দিনের জট একটু একটু করে খুলতে হবে। চারটি মৌজার জমির মালিকেরা টাকা পেয়ে গেলে বাকি মৌজার জমিদাতারাও উৎসাহ পাবেন।’’ ওই কর্তার কথায়, বাকি চারটি মৌজায় জটিলতা অনেক বেশি। প্রথম চারটি মৌজার জমি কেনা হয়ে গেলে বাকিরা চাপে পড়ে যাবেন। একসঙ্গে সবটা করতে গেলে আবার সবটাই আটকে যেতে পারত। রেল টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ায় অধিগ্রহণের কাজ আরও সহজ হয়ে যাবে।
জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ বলেন, “দীর্ঘ দিনের জটিলতা। আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বারবার বসে তাঁদেরকে বুঝিয়ে জমিদাতাদের রাজি করাতে পেরেছি। সেই মতো চারটি মৌজার জমি অধিগ্রহণও হয়ে গিয়েছে। এ বার রেল টাকা দিলেই জমি কেনার কাজ শুরু হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে বাকি চার মৌজার অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াও চালু থাকবে।”
এই প্রসঙ্গে রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “আমরা জেলা প্রশাসনের তরফে চিঠি পেয়েছি। প্রস্তাবিত টাকা অনুমোদনের জন্য রেল বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত তার অনুমোদন পেয়ে যাব। টাকাটা আমাদের কাছে কোনও সমস্যা নয়। জমির সমস্যা মিটে গেলে টাকার জন্য কোনও কিছু আটকে থাকবে না।”
শুধু তা-ই নয়, বাকি আটটি মৌজার ক্ষেত্রে যুগ্ম সমীক্ষা করার জন্য রেলের তরফে জেলা প্রশাসনকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ফলে, জমিজট কাটিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ চালু হওয়া যে এখন কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা, তা রেলের তরফে অনেকটাই পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। (শেষ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy