—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নওদার সর্বাঙ্গপুরে গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে নওদা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ তমাল শেখ, নওদা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য মহম্মদ আল্লা রাখা ওরফে ধীরাজ সহ আরও তিন জনকে। ওই তিন জনের নাম রুবেল শেখ, রুবেল মণ্ডল ও রাহুল শেখ। শুক্রবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, “ওই গুলি চালানোর ঘটনায় আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” শনিবার ধৃতদের বহরমপুর আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী উৎপল রায় বলেন, “গুলি চালানোর ঘটনায় ধৃতদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ জানুয়ারি সর্বাঙ্গপুর এলাকায় গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ওই দিন দুষ্কৃতীর ছোড়া গুলিতে জখম হন রিন্টু বিশ্বাস নামে এক যুবক। এলাকায় একটি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় রাস্তায় পাশ কাটানোকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে তৃণমূল নেতাদের গাড়ি থেকে গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। ওই ঘটনায় আগেই সাহারুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারপর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহের বেশি সময়। মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়ায় সুর চড়ান বিরোধীরা।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, শুক্রবার দুপুরে বহরমপুরে নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সফিউজ্জামান শেখের গাড়িতে তল্লাশি চালায় বহরমপুর থানার পুলিশ। তাকে এসপি অফিসে ডেকে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলেন জেলা পুলিশের একাধিক শীর্ষ কর্তারা।
শুক্রবার রাত থেকে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা মোশারফ হোসেন বলেন, “সর্বাঙ্গপুরে মূল অভিযুক্তদের পুলিশ আড়াল করার চেষ্টা করেছিল। দেরিতে হলেও মূল অভিযুক্তরা একের পর এক গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা খুশি।”
নওদার তৃণমূল বিধায়ক সাহিনা মমতাজ খান বলেন, “নওদায় দলের একাংশ নেতার কারণে সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। যখন তখন গুলি চলছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। এতে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে। কোনও অসামাজিক কার্যকলাপকে দল ও আমরা সমর্থন করব না।”
গুলি চালানোর ঘটনায় ধৃতরা সকলেই ব্লক তৃণমূল সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে দাবি দলের অন্দরের। সফিউজ্জামান বলেন, “ওই দিন আমাদের মিছিলের উপরে বিরোধীদের হামলার ছক ছিল। গুলিতে এক জন আহতও হয়েছেন। পুলিশ আমাদের দুই জনপ্রতিনিধি সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে।” বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ ইউনিটের সাংগঠনিক চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, “ওই ধরনের ঘটনাকে দল সমর্থন করে না। গুলি কাণ্ডে পুলিশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ পুলিশের মতো কাজ করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy