রানাঘাট আদালতে। নিজস্ব চিত্র
হাঁসখালির নাবালিকা গণধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সংশ্লিষ্ট থানার ওসি-র নাম চার্জশিটে যুক্ত করার আবেদন শনিবার আদালতে জানালেন এই মামলার এক অভিযুক্তের আইনজীবী রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন চার্জগঠনের কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
শনিবার রানাঘাটের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক সুতপা সাহার এজলাসে এই মামলার চার্জ গঠনের দিন ছিল। তবে এ দিন সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয় যে, তাদের ভারপ্রাপ্ত আইনজীবী আসেননি। তারা কিছুটা সময় চায়। ফলে পিছিয়ে যায় চার্জ গঠন। এই নিয়ে তৃতীয় বার এই মামলার চার্জ গঠন পিছিয়ে গেল। এর আগে এক বার অভিযুক্তদের আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের হাতে সব কাগজপত্র সময়ে এসে পৌঁছোয়নি বলে তাঁরা সময় চান। আবার সপ্তাহ দু’য়েক আগে চার্জ গঠনের দিনে সিবিআই জানায়, তাদের ভারপ্রাপ্ত আইনজীবী আসেননি।
এ দিন আদালতে দাঁড়িয়ে অন্যতম অভিযুক্ত ধৃত প্রভাকর পোদ্দারের আইনজীবী রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগেই আদালতে নির্যাতিতার মা জানিয়েছিলেন যে, তিনি এবং তাঁর স্বামী থানায় গেলে ওসি সেখানে সমরেন্দু গয়ালি এবং ব্রজ গয়ালির সামনে লাঠি হাতে তাঁদের মারতে যান। পরে তাঁর স্বামীর হাতে লাঠি দিয়ে তাঁকে মারতে বলেন। তিনি অভিযোগও নেননি।” রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৩১৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী, অভিযোগে নাম না থাকলেও পরে কারও নাম অভিযুক্তের তালিকাভুক্ত করা যায়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওসির নামও অভিযুক্তের তালিকায় আনা হোক।”
এ দিন আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, হুমকি দেওয়ার অভিযোগে অনেকের নামই চার্জশিটে এসেছে। তা হলে ওসিই বা নন কেন? পরে তিনি আদালতে এই বিষয়ে পিটিশন জমা দেবেন বলেও জানান। বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত এপ্রিল মাসের এই ঘটনায় পরে হাইকোর্টের আদেশে তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। ৭ জুলাই এই মামলায় চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা। সেখানে নয় জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক নাবালকও রয়েছে। শনিবার আদালতে এক অভিযুক্ত রঞ্জিত মল্লিকের হয়ে জামিনের আবেদন দাখিল করেন তাঁর আইনজীবী বিশ্বজিৎ বিশ্বাস।
তিনি আদালতে বলেন, ‘‘রঞ্জিত মল্লিকের নাম কেউ বলেননি। তার বয়সও কম। সে আদালতের নির্দেশ মেনে চলবে।’’ তবে তার জামিনের আর্জি নাকচ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy