অবসর: বছরের প্রথম দিন অভয়ারণ্যে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
হরিণের খোঁজে হন্য হয়ে ঘুরছিল এক দল কচিকাঁচা। কিন্তু কোথায় হরিণ! ভিড় দেখে গভীর জঙ্গিলে সেঁধিয়েছে তারা। অগত্যা পাটের হরিণ কিনে মিটল আশ। বছরের প্রথম দিনে এমনই ছবি বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে।
অশোকনগর থেকে পাটের হরিণ বিক্রি করতে এসেছেন গোবিন্দ সেন। তিনি বলেন, ‘‘দেড়শো হরিণ নিয়ে এসেছিলাম। দুপুরের মধ্যে মাত্র ছ’টা পড়ে আছে।’’ সকাল থেকেই প্রচুর লোক ভিড় করেছেন। গত বছর তেমন ভিড় হয়নি। এ বার ডিসেম্বরের শুরু থেকে লোকজন আসছে। পয়লা জানুয়ারি ভিড় উপচে পড়ে।
স্থানীয় ও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল থেকে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। ভিড় ঠেকাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ঢোকার মুখেই সকলের ব্যাগ পরীক্ষা করে ভেতরে ঢোকানো হয়। বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হয় ক্যারিব্যাগের উপর।
তবে ঘুরতে আসা লোকজনদের একাংশের অভিযোগ, জঙ্গলের ভেতরে কড়া নজরদারি থাকলেও অভায়ারণ্যের সামনে তারস্বরে ‘ডিজে বক্স’ বেজেছে। মদ খেয়ে চলে উত্তাল নাচ। বন দফতর কর্মীরা এসে নিয়ন্ত্রণ করেন। বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যের অধিকারিক রাজেশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘বুধবার মোট ১৪৪৭টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। অরণ্যের প্রতি মানুষের ভালবাসা যে অটুট তা বোঝা যাচ্ছে।’’
এরই মধ্যে পর্যটকদের একাংশের অভিযোগ, পিকনিকের জায়গা পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য ‘রসিদ’ দিয়ে দুশো টাকা নেওয়া হলেও আদপে তা করা হয়নি। সেই রসিদের মাথায় লেখা রয়েছে ‘বিল্বগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে’।
মুর্শিদাবাদের সালার থেকে এসেছেন শম্ভু দাস। তিনি বলেন, ‘‘জায়গা পরিষ্কার করার নাম করে কিছু জন লোক আমাকে রসিদ দিয়ে টাকা নিয়ে গেলেন। অথচ বন দফতররের কর্মী বলছেন, জায়গা পরিষ্কার করে দিতে। তা হলে যাঁরা টাকা নিলেন তাঁরা কারা?’’
বিল্বগ্রামের পঞ্চায়েতর প্রধান কবিতা বিশ্বাস অবশ্য বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত কোনও টাকা নিচ্ছে না। কে নিল, খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy