হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বিনোদ কাম্বলি। ছবি: সমাজমাধ্যম।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বিনোদ কাম্বলির। ফলে মহারাষ্ট্রের ঠাণের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার। তাঁর চিকিৎসা চলছে। অবশ্য ঠিক কী সমস্যা কাম্বলির হয়েছে সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা কাম্বলির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
গত কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে কাম্বলির। সেই কারণে প্রকাশ্যে খুব কম দেখা যায় তাঁকে। কয়েক দিন আগে শিবাজি পার্কে কোচ রমাকান্ত আচরেকরের মূর্তির উদ্বোধনে গিয়েছিলেন কাম্বলি। তখনই তাঁকে বেশ দুর্বল দেখাচ্ছিল। কাম্বলির এক সময়ের সতীর্থ সচিন তেন্ডুলকরও সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে সচিনকে দেখা যায়, কাম্বলির শরীরের খোঁজ নিচ্ছেন।
কাম্বলির আর্থিক অবস্থাও ভাল নয়। এই পরিস্থিতিতে তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যেরা। কপিল দেব ও সুনীল গাওস্কর জানিয়েছেন, তাঁরা কাম্বলিকে সুস্থ দেখতে চান। তার জন্য আর্থিক সাহায্য করতেও প্রস্তুত। তবে একটি শর্ত দিয়েছেন তাঁরা। কাম্বলিকে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য রিহ্যাবিলিটেশন কেন্দ্রে ভর্তি হতে হবে। যদি কাম্বলি রাজি থাকেন, তবেই সাহায্য করবেন তাঁরা।
এক মাস আগেও হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল কাম্বলিকে। সেখান থেকে বেরিয়ে নিজের শারীরিক সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন ৫২ বছর বয়সি ক্রিকেটার। কাম্বলি বলেন, “আমার মুত্রত্যাগে সমস্যা হচ্ছিল। যখন তখন মুত্র বার হয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় আমার ছেলে জেসাস ক্রিশ্চিয়ানো, স্ত্রী ও ১০ বছরের মেয়ে আমাকে খুব সাহায্য করেছে। ওরাই আমাকে আবার নিজের পায়ে দাঁড় করিয়েছে। এক মাস আগে মাথা ঘুরে এক বার পড়ে গিয়েছিলাম। তার পরে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল।”
কাম্বলি আরও জানিয়েছিলেন, ২০১৩ সালে দু’বার তাঁর হৃদ্যন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সেই সময় তাঁকে আর্থিক সাহায্য করেছিলেন সচিন।
ভারতের হয়ে ন’বছর ক্রিকেট খেলেছেন কাম্বলি। ১৭টি টেস্টে ১০৮৪ ও ১০৪টি এক দিনের ম্যাচে ২৪৭৭ রান করেছেন তিনি। টেস্টে চারটি ও এক দিনের ক্রিকেটে দু’টি শতরান রয়েছে তাঁর। প্রখম শ্রেণির ক্রিকেটে ১২৯টি ম্যাচে ৯৯৬৫ রান রয়েছে এই বাঁহাতি ব্যাটারের। ৩৫টি শতরান করেছেন তিনি। এক সময় ভারতের সবচেয়ে প্রতিভাবান ক্রিকেটার বলা হত তাঁকে। কিন্তু উচ্ছৃঙ্খল জীবন ক্রমশ ক্রিকেট থেকে দূরে নিয়ে গিয়েছে তাঁকে। ব্যক্তিগত জীবনেও বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন কাম্বলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy