প্রতীকী ছবি।
জানুয়ারি গোড়া থেকেই পাল্লা দিয়ে কমতে শুরু করেছিল শীত আর সোনার দাম!
টানা কয়েক দিন ধরে কমতে-কমতে প্রায় দু’হাজার টাকা দর কমল দশ গ্রাম সোনার। সামনেই মাঘ-ফাল্গুন জুড়ে ভরা বিয়ের মরশুম। এই সময়ে সোনার দাম কমায় খুশি গয়না বিক্রেতা থেকে কারিগর সকলেই।
গত এক সপ্তাহ ধরে সোনার দাম কমতে কমতে বুধবার দশ গ্রাম গয়নার হলমার্ক সোনার দাম দাঁড়ায় ৪৯৪০০ টাকা (২২ ক্যারেট)। অন্য দিকে হলমার্ক-বিহীন প্রতি দশ গ্রাম গয়নার সোনার দাম ছিল ৪৯০০০ টাকা। অথচ জানুয়ারির গোড়ায় সোনার দাম ছিল ৫২০০০ টাকার আশপাশে।
সোনার দামের এই ওঠাপড়া অবশ্য সেই লকডাউন পর্ব থেকেই চলছে। মার্চে লকডাউন শুরুর সময়ে দশ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৪০-৪১ হাজার টাকা, যা বেড়ে এক সময়ে পৌঁছে যায় ৫৬৮০০ টাকায়। সেপ্টেম্বরের শেষে আবার প্রায় ছ’হাজার টাকা দাম কমে। পুজোর মুখে বাজারও কিছুটা চাঙ্গা হয়েছিল। কিন্তু দাম ফের চড়তে শুরু করে ধনতেরাসের মুখে। নভেম্বরে কম-বেশি দু’হাজার টাকা বেড়ে যায় প্রতি দশ গ্রাম গয়নার সোনার দাম। নতুন বছরে দাম ফের পড়ছে।
স্বাভাবিক নিয়মে মাঘ-ফাল্গুনে বিয়ের মরশুমের আগে চিরকালই দাম বাড়ে সোনার। এ বার উলটপুরানের কারণ কী? অখিল ভারতীয় স্বর্ণকার সঙ্ঘের রাজ্যের সাংগঠনিক সম্পাদক তথা দক্ষিণ কৃষ্ণনগর স্বর্ণশিল্পী ওয়েলফেয়ার সমিতির সম্পাদক অক্ষয় ভট্টাচার্যের ব্যাখ্যা, “বছরের গোড়া থেকে শেয়ার বাজার যথেষ্ট তেজি রয়েছে। ফলে লগ্নিকারীরা সোনা ছেড়ে শেয়ারে লগ্নি করছেন। সে জন্য মজুত সোনা ছেড়ে দিচ্ছেন। বাজারে সোনার জোগান বাড়তেই দাম কমছে। শেয়ার বাজারে এই গতি থাকলে সোনার দাম আরও কিছুটা কমবে। বিয়ের মরশুমে তার সুফল ব্যবসায়ীরা পাবেন।”
নবদ্বীপের স্বর্ণ-রৌপ্য ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তরুণকুমার দে বলেন, “দাম কমলে লোকে বেশি কিনবে এটাই সাধারণ নিয়ম। বিয়ের মরশুমের মুখে সোনার দাম কমায় এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন সত্যিই সোনালি আলোর রেখা দেখছেন।”
যদিও ছোট ব্যবসায়ীদের লড়াই এখন শুধু চড়া দামের সঙ্গে নয়। বিভিন্ন শহরে ক্রমশ বাড়তে থাকা বড় সংস্থার শো-রুমের সঙ্গেও। তাঁদের আক্ষেপ, চিরচরিত দোকানে সোনার দাম কম হলেও অনেকেই এখন শো-রুমের দিকে ঝুঁকছেন। ঘন-ঘন সোনার দামের ওঠাপড়া নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীদের কোনও লাভ হবে না।
তিনপুরুষের স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং নবদ্বীপের স্বর্ণ-রৌপ্য ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি গোপালচাঁদ মল্লিক বলেন, “সোনার দর নামা বিয়ের বাজারের পক্ষে ভাল খবর। দাম যত কমবে, সোনা কেনার পরিমাণ বাড়বে, যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ধারণা, শেয়ার বাজার যদি এ রকমই থাকে তা হলে মাঘ-ফাল্গুনে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য আরও ভাল সময় অপেক্ষা করে আছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy