এ বার আর শুধু ভোটার স্লিপ নিয়ে বুথে গেলে ভোট দেওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ভোটার কার্ড-সহ ১১টি সচিত্র পরিচয়পত্রের যে কোনও একটি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “এত দিন শুধু ভোটার স্লিপ নিয়ে গেলেই চলত। এ বার সেটা আর হবে না।”
এত দিন ভোটকর্মীরা বাড়ি-বাড়ি বুথ, সিরিয়াল নম্বর ও ছবি সংবলিত ভোটার স্লিপ দিয়ে আসতেন। সেটা দেখিয়েও ভোট দেওয়া যেত। এ বারও তাঁরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সেই স্লিপ দিয়ে আসবেন। জেলাশাসক জানান, সেই স্লিপ দেওয়া হবে যাতে সহজে ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম খুঁজে বার করতে পারেন ভোটকর্মীরা। কিন্তু ভোট দিতে গেলে সচিত্র ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সচিত্র সার্ভিস আইডেন্টিটি কার্ড (সব সংস্থার নয়), ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরের সচিত্র পাসবুক, প্যান কার্ড, স্মার্টকার্ড, ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড, শ্রম দফতরের স্বাস্থ্যবিমা স্মার্টকার্ড, সচিত্র পেনশন নথি, সাংসদ বিধায়ক বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির পরিচয়পত্র, আধার কার্ড— এর অন্তত একটি সঙ্গে নিয়ে যেতেই হবে।
এ বারই প্রথম প্রতিটি বুথে থাকবে ভিভিপ্যাট যন্ত্র। কী ভাবে তা কাজ করবে, বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় তা সাধারণের জন্য প্রদর্শনী করে দেখানো হচ্ছে। প্রতিটি বুথে সকাল সওয়া ৬টার মধ্যে ইভিএম মেশিন ও ভিভি প্যাট যন্ত্রে মোটের মহড়া করে তার পরে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ফোনে অভিযোগ করা এবং ভোটার তালিকা নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ১৯৫০ টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে। জেলাশাসক জানান, মনোনয়ন জমা শুরু হওয়ার ১০ দিন আগে পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy